পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিত-পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ
প্রিয় পাঠক আপনারা কি জানেন পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা-পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। আর যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।কারণ পেঁয়াজ রান্নার মসলা হিসেবে ব্যবহার করা ছাড়াও অতি প্রাচীনকাল থেকে এটি ঔষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে।তাই আজকের আর্টিকেলে পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা-পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। অনুরোধ রইল আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার।
পেঁয়াজের বিভিন্ন উপকারিতা পেতে চাইলে কাঁচা পেঁয়াজ বিভিন্নভাবে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। যেমন সালাদের সাথে,ভাতের সাথে,বিভিন্ন মুখোরোচক খাদ্য খাবারের সাথে প্রভৃতি। এতে করে শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি কোন রোগ আক্রান্ত থাকলে সেটাও দ্রুত নিরাময় হবে।
ভূমিকা
পেঁয়াজ আমাদের দৈনন্দিন রান্নায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। মূলত এটি ছাড়া মজাদার তরকারির কথা যেন ভাবাই যায় না। পেঁয়াজ তরকারি স্বাদকে দ্বিগুণ করে দেয়। তরকারি ছাড়াও সালাদে এটি খাওয়া যায়।এছাড়া কাঁচা পেঁয়াজ খেতে অনেকে বেশ পছন্দ করেন।এই পেঁয়াজের রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ।পেঁয়াজের রস বাতরোগ সারায়,হৃদ রোগীদের জন্য উপকারী এবং যৌন সক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। বিভিন্ন তরকারিতে মসলা হিসেবে ব্যবহৃত রান্না করা পেঁয়াজের চেয়ে কাঁচা পেঁয়াজের উপকারিতা অনেক বেশি।
রান্না করার সময় অধিক তাপের কারণে পেঁয়াজের অনেক গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া জরুরি।এছাড়াও মশার উৎপাত ও কীটপতঙ্গের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে পেঁয়াজের রস আপনার শরীরের অনাবৃত অংশে মাখিয়ে নিন। দেখবেন মশা বা কীটপতঙ্গ আর কামড়াতে আসছে না।
পেঁয়াজের পুষ্টি উপাদান
পেঁয়াজে রয়েছে নানান গুণ এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। একটি বড় পেঁয়াজ রয়েছে:
- পানি ৮৬.৮ শতাংশ,
- প্রোটিন ১.২ শতাংশ,
- শর্করা জাতীয় পদার্থ ১১.৬ শতাংশ,
- ক্যালসিয়াম ০.১৮ শতাংশ,
- ফসফরাস ০.০৪ শতাংশ,
- লোহা ০.৭ শতাংশ,
- এছাড়াও পেঁয়াজে রয়েছে,
- ভিটামিন এ,
- ভিটামিন বি,
- ভিটামিন বি১(থায়ামিন),
- ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লাবিন),
- ভিটামিন বি৩ (নিয়াসিন),
- ভিটামিন বি৫ (প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড),
- ভিটামিন বি৬,
- ভিটামিন বি ৯ (ফোলেট),
- ভিটামিন সি,
এবার আসুন জেনে নিই পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা-পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
পেঁয়াজের উপকারিতা-পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ
পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় দিক রয়েছে। অতিমাত্রায় কোন কিছু খাওয়া উচিত নয়। আবার সবার জন্যই যে কাঁচা পেঁয়াজ উপকারী হবে সেটাও বলা যাবে না। তবে যাদের কাঁচা পেঁয়াজ খেলে শরীরে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। তারা যদি পরিমিত পরিমাণ কাঁচা পেঁয়াজ খান তাহলে অনেক রোগ ব্যাধি থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। গবেষকদের মতে, প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ গ্রামের বেশি কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া উচিত নয়।
১)হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
যাদের দীর্ঘদিন ধরে হজমে সমস্যা রয়েছে তারা দিনে এক টুকরো করে কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারে।কারণ কাঁচা পেঁয়াজ পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে।যার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং ক্ষুদা মন্দা ভাব দূর হয়। গবেষকদের মতে, খাবার হজমের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন এনজাইম বাড়াতে সাহায্য করে কাঁচা পেঁয়াজ।
২)সর্দি,কাশি দূর করে
কাঁচা পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টি- বায়োটিক জাতীয় পুষ্টি উপাদান। এসব পুষ্টি উপাদান শরীরের বিভিন্ন সংক্রামনজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে। এজন্য ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, জ্বর হলে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
৩)রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে
পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে।আর এই পটাশিয়ামের কাজ হল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা।যাদের উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগ আছে তারা দিনে এক টুকরো পরিমাণ কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন।এতে উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা সহজে দূর হবে। অর্থাৎ পেঁয়াজ রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
৪)রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
নিয়মিত এক টুকরো কাঁচা পেঁয়াজ খেলে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। কারণ পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি প্রভৃতি পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে অনেকটা শক্তিশালী করে।
৫)হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
পেঁয়াজ শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। কাঁচা পেঁয়াজ খেলে হার্টের রক্ত জমাট বাঁধে না। তাই হার্ট এটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায় এবং সারা শরীরে রক্ত চলাচল সচল থাকে।তাই প্রতিদিন সালাদের সাথে এক টুকরা কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
৬)ব্রণের সমস্যা দূর করে
সকালে ঘুম থেকে উঠেই গালে অস্বাভাবিক রকমের ব্রণ দেখতে পাচ্ছেন? সমস্যা নেই। ব্রণে পেঁয়াজের রস মেখে দিন। ব্রণ চলে যাবে। কারণ পেঁয়াজে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা শরীরের রোগ জীবাণু ধ্বংস করতে সহায়তা করে।
৭)চুল পড়া কমায়
চুল পড়া কমাতে চুলে পেঁয়াজের রস মাখার বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না। কারণ কাঁচা পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সালফার যা চুলের গোড়াকে শক্ত করে।পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।এছাড়াও এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় মাথার ত্বকের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। তাই দ্রুত চুল পড়া কমে যায়।
৮)ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
কাঁচা পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, ভিটামিন বি,ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এইসব পুষ্টি উপাদান শরীরে জমে থাকা টক্সিন বেরকরে ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল,কোমল ও লাবণ্যময় করে তোলে। এছাড়াও ত্বকের দাগ-ছোপ, ব্রণ,লালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে।
৯)ব্যথানাশকের কাজ করে
পেঁয়াজে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় শরীরে ফোঁড়া কিংবা ঘা হলে পেঁয়াজ দিয়ে ধুয়ে ফেললে তা তাড়াতাড়ি সেরে যায়। কারণ কাঁচা পেঁয়াজ প্রাকৃতিক পেইন কিলার বা ব্যথানাশকের কাজ করে।অনেক কীটপতঙ্গ রয়েছে যাদের কামড়ে শরীরে বেশ ব্যথা হয়। এই ব্যথা দূর করতে হলে এক টুকরা পেঁয়াজ ঘষে দিন ব্যথার স্থানে। ব্যথা কমে যাবে।
আবার গলা ব্যথা হলে একটু গরম পানিতে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে তা পান করুন অল্প অল্প করে। গলা ব্যথা সেরে যাবে।শরীরের কোন অংশ পুড়ে গেলে সেখানে পেঁয়াজের রস মাখুন। দেখবেন পোড়া স্থানের ব্যথা থাকবে না, জ্বালা পোড়া কমে যাবে।
১০)যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে
এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে,কাঁচা পেঁয়াজের রস টেস্টোস্টেরন হরমোনের নিঃসরণ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।যার ফলে সঙ্গমের ইচ্ছা বা স্ফূর্তিও অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। হরমোন বিশেষজ্ঞ এলিসা ভিটির মতে, ধীরে ধীরে সময় নিয়ে কাঁচা পেঁয়াজের রস খেতে পারলে তা আমাদের কামেচ্ছা বাড়িয়ে তোলে, সক্রিয় করে তোলে আমাদের যৌনাঙ্গকে।তাই নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে প্রজনন সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে রোজ পাতে রাখতে পারেন কাঁচা পেঁয়াজ।
১১)দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে চিকিৎসকরাও অনেক সময় পেঁয়াজ খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিনএ।আর ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও পেঁয়াজে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ সেলেনিয়াম,যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন ই তে রুপান্তরিত হয়। এই ভিটামিন চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১২)ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, কাঁচা পেঁয়াজের রস খেতে পারলে টেস্ট টিউবের টিউমার সেল সহজেই ধ্বংস হয়ে যায়। এছাড়াও পেঁয়াজ কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
১৩)ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
কাঁচা পেঁয়াজ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। কাঁচা পেঁয়াজ শরীরের ইনসুলিন বৃদ্ধি করে এবং রক্তে চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে বলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা প্রতিদিন সালাদের সঙ্গে একটি করে পেঁয়াজ খেতে পারেন। তাহলে সহজে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
১৪)হেঁচকি ওঠা বন্ধ করতে
হেঁচকি ওঠা বন্ধ না হলে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে পানি পান করুন। হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে। পেঁয়াজের রস পানির সাথে মিশিয়ে পান করলে হেঁচকি ওঠা যে সহজে বন্ধ হয়ে যায় সেটা প্রমাণিত। সুতরাং দেখা যায় যে পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় দিক রয়েছে।
১৫)বমি দূর করতে
বমি হলে কয়েক ফোটা পেঁয়াজের রস পানিতে মিশিয়ে পান করুন। এতে বমি বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ পেঁয়াজের রস হজম শক্তি বাড়ায় এবং পেটের গ্যাস,অম্বল জনিত সমস্যা সহজে দূর হয়ে যায়।
১৬)ধাতব সামগ্রীতে দাগ দূর করতে
সাধারণত চামচ, দা, ছুরি কিংবা অন্য কোন ধাতব সামগ্রীতে কোন দাগ লেগে গেলে বা মরিচা পড়ে গেলে।এক্ষেত্রে আপনি সেইসব কঠিন দাগ ও মরিচা পেঁয়াজ কেটে তা দিয়ে ঘষে তুলে ফেলতে পারেন খুব সহজে।
পেঁয়াজের অপকারিতা
পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় দিক রয়েছে। অতিরিক্ত পেঁয়াজ খাওয়া কখনোই উচিত নয়। গবেষকদের মতে, প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম পর্যন্ত পেঁয়াজ খাওয়া উচিত।কারণ এর চেয়ে বেশি পরিমান কাঁচা পেঁয়াজ খেলে দেখা দিতে পারে শরীরের নানান সমস্যা।
১)অ্যালার্জি সমস্যা
কাঁচা পেঁয়াজ খেলে দেখা যায় অনেকের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা বেড়ে যায়। তাই কাঁচা পেঁয়াজ খেলে যাদের অ্যালার্জিজনিত রোগ বেড়ে যায় তারা অবশ্যই কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
২)হৃদপিন্ডে সমস্যা
কাঁচা পেঁয়াজে রয়েছে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম। দেখা যায় যে আমাদের দেহে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে হাইপোটেনশনের জন্ম দিতে পারে। এতে হৃদপিন্ডের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। ফলে দেখা দিতে পারে দ্রুত হার্টবিট, অনিয়মিত হার্টবিট ও হার্ট স্ট্রোক।
৩)চোখের সমস্যা সৃষ্টি
পেঁয়াজে থাকে প্রচুর পরিমাণ সালফিউরিক অ্যাসিড। এই সালফিউরিক অ্যাসিড থাকার কারণে কাঁচা পেঁয়াজ এত ঝাঁঝালো হয়। এজন্য দেখা যায় পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ জ্বালাপোড়া করে। পেঁয়াজে থাকা সালফিউরিক অ্যাসিড চোখের সংস্পর্শে গেলে চোখ জ্বালাপোড়াসহ মানুষকে অন্ধ পর্যন্ত করে দিতে পারে।
৪)রক্তচাপ কমে যাওয়া
অতিরিক্ত পরিমাণ কাঁচা পেঁয়াজ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বিপদজনকভাবে নিম্ন স্তরে নেমে যেতে পারে। কারণ কাঁচা পেঁয়াজ রক্তের প্রবাহে চিনির শোষণকে ধীর করে দেয়। ফলে রক্তচাপ কমে গিয়ে দেখা দিতে পারে অস্পষ্ট দৃষ্টি,মাথা ঘোরা, মাথা ব্যাথা সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা।
৫)মুখে দুর্গন্ধ হওয়া
অতিরিক্ত কাঁচা পেঁয়াজ খেলে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। কারণ কাঁচা পেঁয়াজে থাকা সালফার মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। তাই পেঁয়াজ খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করে নেওয়া ভালো।
৬)হজমে সমস্যা
অতিরিক্ত পরিমাণ কাঁচা পেঁয়াজ খেলে পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ দেখা যায় কাঁচা পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমান গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ।কাঁচা পেঁয়াজে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে, যার ফলে অনেকেই ভালোভাবে হজম করতে পারে না। ফলে অতিরিক্ত কাঁচা পেঁয়াজ খেলে এসিড রিফ্লাক্স, হজমে সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া,ডায়রিয়া ও লিভার প্রদাহসহ নানা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
শেষ কথা
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, দৈনন্দিন জীবনে পেঁয়াজের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। পেঁয়াজ যেমন খাবারের স্বাদকে অধিক করে ঠিক কাঁচা পেঁয়াজে রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা।আজকের আর্টিকেলে পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা-পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।