বাংলাদেশের কৃষির বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর
প্রিয় পাঠক আপনারা কি বাংলাদেশের কৃষির বৈশিষ্ট্যসমূহ সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলে বাংলাদেশের কৃষির বৈশিষ্ট্যসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল।
বাংলাদেশের কৃষির বৈশিষ্ট্যসমূহ, চাষাবাদ পদ্ধতি,পানিসেচ, উৎপাদন ব্যবস্থা এবং সাম্প্রতিক কালের কৃষির উন্নয়ন ধারা আলোচনা করলে বাংলাদেশের কৃষিব্যবস্থার সামগ্রিক পরিচয় পাওয়া যায়। কৃষি হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস ও অর্থনীতির মেরুদন্ড। বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের শতকরা ৭.৩৪ ভাগই কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য থেকে আসে।
ভূমিকা
মানুষের আদিম পেশাগুলোর মধ্যে কৃষিকাজ অন্যতম। বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক দেশ। এদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭৫ % লোক প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। এদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের এক-তৃতীয়া কৃষি থেকে আসে। কৃষি প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও কৃষিতে বিদ্যমান সমস্যাবলির কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কৃষির উৎপাদনশীলতা খুবই কম। বিশ্বের অন্যান্য অনুন্নত কৃষি প্রধান দেশের মতো বাংলাদেশের কৃষিতেও বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের কৃষির বৈশিষ্ট্যসমূহ
বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের জাতীয় আয়ের প্রধান উৎস হল কৃষি। নিম্নে বাংলাদেশের কৃষির বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করা হলো:
১/প্রাচীন চাষাবাদ পদ্ধতি
বাংলাদেশের কৃষির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো প্রাচীন চাষাবাদ পদ্ধতি। প্রাচীন চাষাবাদ পদ্ধতি বলতে মান্ধাতার আমলের কাঠের লাঙল-জোয়াল এবং জীর্ণশীর্ণ একজোড়া বলদ দ্বারা সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদকে বুঝানো হয়েছে। আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেক দেশ কৃষিতে বিপ্লব ঘটালেও এদেশের কৃষকরা আধুনিক চাষ পদ্ধতি সম্বন্ধে সম্পূর্ণরূপে অজ্ঞ।
২/প্রকৃতি নির্ভর কৃষি
বাংলাদেশের কৃষি মূলত প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। এদেশের কৃষি মৌসুমী বায়ু দ্বারা প্রভাবিত। সরকারি নীতিমালা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে বাংলাদেশে আজও পর্যাপ্ত সেচ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। তাই প্রতিবছর অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টির কারণে কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হলেও প্রকৃতির খেয়াল খুশির বাইরে কোন কিছু করার সামর্থ্য বাংলাদেশের কৃষকদের নেই।
৩/জমির খন্ড-বিখন্ডতা
বাংলাদেশের কৃষির বৈশিষ্ট্যসমূহ মধ্যে জমির খন্ড-বিখন্ডতা অন্যতম। বাংলাদেশে ভূমির মালিকানার ক্ষেত্রে উত্তরাধিকার আইন প্রচলিত।এ আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার কৃষি জমি স্ত্রী, পুত্র-কন্যা ও অন্যান্য উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বন্টিত হয়। এতে কৃষি জমি বারবার খন্ড-বিখন্ড হয়ে ক্ষুদ্রায়তন হয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
এসব খন্ডিত ক্ষুদ্রায়তনের কৃষি জমিতে আধুনিক যান্ত্রিক চাষাবাদ পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় না। তাছাড়া খন্ড-বিখন্ড জমির নতুন নতুন আল দিতে গিয়ে মোট কৃষি জমির পরিমাণও কমে যায়। সুতরাং কৃষি জমির খন্ড-বিখন্ডতাও বাংলাদেশের কৃষির একটি বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচিত।
৪/অনুর্বরতা
বাংলাদেশের ক্রোমবর্ধমান হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু কৃষি জমির পরিমাণ বাড়ছে না। উপরন্তু বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য একই জমিতে বারবার খাদ্যশস্য উৎপাদন করতে হচ্ছে। এতে কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি ক্রমে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া কৃষকদের অজ্ঞতা ও আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে প্রয়োজনীয় রসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না বলেও কৃষি জমির উর্বরতা হ্রাস পায়।
৫/ভূমিহীনতা
বাংলাদেশের কৃষকদের অধিকাংশেরই নিজস্ব জমি নেই। কেননা বেশিরভাগ কৃষকই ভূমিহীন। তারা অন্যের জমিতে চাষ করে। এতে প্রতিনিয়তই কৃষকরা কৃষি জমির মালিকের প্রতারণার শিকার হয়। বারবার প্রতারণার শিকার কৃষকরা পূর্ণোদ্যমে কৃষি কাজ করে না। ফলে বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনের পরিমাণ ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। সুতরাং কৃষকদের ভূমিহীনতা এদেশের কৃষির একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।
৬/জোতদারদের মালিকানা
বাংলাদেশের বেশিরভাগ কৃষি জমির মালিক জোতদারগণ। ভূমিহীন কৃষকরা জোতদারদের নিকট থেকে বর্গা প্রথার আওতায় জমি চাষ করে। চুক্তি অনুযায়ী ফসলের অধিকাংশই জমির মালিককে দিতে হয় বলে কৃষি জমির উন্নয়নে তারা মনোনিবেশ করে না। ফলে ক্রমেই কৃষি জমির উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়।
৭/কৃষক শ্রেণীর আধিক্য
দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক কৃষি কাজে নিয়োজিত হয়। ফলে প্রয়োজনাতিরিক্ত লোক কৃষি কাজে নিয়োজিত হয়ে ছদ্ম বেকারত্বের সৃষ্টি করে।আর এ হার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে কৃষি কাজে নিয়োজিত জনশক্তি অনুপাতে কৃষি উৎপাদন খুবই কম। সুতরাং কৃষক বহুল কৃষি বাংলাদেশের কৃষির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
৮/জমির স্বল্পতা
বাংলাদেশের কৃষির বৈশিষ্ট্যসমূহ মধ্যে কৃষি জমির স্বল্পতা অন্যতম। বাংলাদেশের মাথাপিছু কৃষি জমির পরিমাণ মাত্র ০.১৪ একর। এ হার বিশ্বের উন্নত দেশের তুলনায় খুবই নগণ্য। তাছাড়া দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে মাথাপিছু জমির পরিমাণ ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। কেননা জনসংখ্যা বাড়লেও কৃষি জমির পরিমাণ বাড়ে না। সুতরাং মাথাপিছু স্বল্প পরিমাণ কৃষি জমি বাংলাদেশের কৃষির আরেকটি বৈশিষ্ট্য।
৯/অনাবাদি ভূমি
জলাবদ্ধতা, চাষের প্রতি কৃষকদের অনীহা, স্যার ও কীটনাশকের স্বল্পতা, উন্নত বীজের অভাব ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশের মোট কৃষি জমির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অনাবাদি থেকে যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সিলেট, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিস্তীর্ণ জমি প্রায় সারা বছরই জলাবদ্ধ থাকে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এসব জমিতে চাষাবাদ করা যায় না।
১০/স্বল্প উৎপাদন
বিশ্বের উন্নত দেশগুলো উফশী জাতের বীজ ব্যবহার করে একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করতে সক্ষম হলেও বাংলাদেশের কৃষকরা সেই গতানুগতিক কম উৎপাদনশীল বীজ ব্যবহার করে থাকে। ফলে বাংলাদেশের একর প্রতি কৃষি উৎপাদন খুবই কম। একর প্রতি স্বল্প কৃষি উৎপাদন বাংলাদেশের কৃষির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
১১/শিক্ষার অভাব
উন্নত দেশের কৃষকরা শিক্ষিত ও দক্ষ হওয়ায় তারা কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি ও হাতে-কলমে শিক্ষাগ্রহণ করে আশানুরূপ ফসল উৎপাদন করছে। কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ কৃষক অশিক্ষিত হওয়ায় তাদের কৃষি বিষয়ে কোন জ্ঞান নেই। ফলে এদেশের কৃষিকাজ শুধুমাত্র অশিক্ষিত লোকদের দ্বারাই পরিচালিত হয়। তাছাড়া এদেশে কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও তেমন একটা গড়ে ওঠেনি। ফলে অশিক্ষিত কৃষক বাংলাদেশের কৃষির আরেকটি বৈশিষ্ট্য।
১২/দারিদ্র্য
দারিদ্র্য বাংলাদেশের কৃষির বৈশিষ্ট্যসমূহ মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের অধিকাংশ কৃষক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। তারা প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে কৃষি কাজে উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে পারে না। তাছাড়া পর্যাপ্ত ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের অভাবে কৃষকরা প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ ক্রয় করার জন্য চাহিদা অনুসারে ঋণ পায়না। ফলে প্রতিবছরই বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়। সুতরাং দারিদ্র্য বাংলাদেশের কৃষির একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।
১৩/ভূমিক্ষয়
বাংলাদেশের সঠিক উন্নয়নের জন্য ২৫% বনভূমি থাকা প্রয়োজন হলেও বর্তমানে বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১৭. ৫১%। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে দেশের জনগণের মাঝে বনভূমি বাড়ানোর কোন প্রচেষ্টা তো নেই, বরং বিপুল জনগোষ্ঠীর জ্বালানি চাহিদা পূরণের জন্য অপরিকল্পিতভাবে ব্যাপক হারে বৃক্ষ নিধন করে চলেছে। ফলে ঝড়-ঝঞ্ঝা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষি জমির উপরিভাগ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে পলি মাটি অপসারিত হচ্ছে। এতে কৃষি জমি ক্রমশ অনুর্বর হয়ে পড়ছে এবং কৃষির ফলন হ্রাস পাচ্ছে।
১৪/জীবিকা ভিত্তিক চাষাবাদ
জীবিকা ভিত্তিক চাষাবাদ বাংলাদেশের কৃষির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কেননা উন্নত দেশগুলোতে যখন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কৃষি কাজ পরিচালিত হচ্ছে,বাংলাদেশের কৃষকরা তখন শুধুমাত্র নিজেদের ভরণপোষণের জন্য কৃষিকাজ করে চলেছে। কারণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফসল উৎপাদনে তারা অভ্যস্ত নয়, আবার তারা প্রয়োজনও মনে করে না। তাছাড়া উফশী জাতের বীজ ব্যবহার করে উৎপাদন বৃদ্ধিকে তারা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে থাকে।
১৫/খাদ্যশস্য উৎপাদনে প্রাধান্য
বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের জনবহুল দেশগুলোর অন্যতম। বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য বাংলাদেশের কৃষকদের খাদ্যশস্য উৎপাদনে প্রাধান্য দিতে হয়। তাই এদেশের আবাদযোগ্য ভূমির ৮০% খাদ্যশস্য উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। সুতরাং খাদ্য শস্য উৎপাদনে প্রাধান্য বাংলাদেশের কৃষির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
১৬/ত্রুটিপূর্ণ বাজার ব্যবস্থা
বাংলাদেশের কৃষির বৈশিষ্ট্যসমূহ মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ বাজার ব্যবস্থা অন্যতম। বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্যের বাজার ব্যবস্থা অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ। দালাল,ফড়িয়া, আড়তদার প্রভৃতি মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা কৃষিজাত পণ্যের বাজার মূল্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ভোগ করে থাকে। ফলে এদেশের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়। তাছাড়া এদেশের কৃষকদের জন্য কোন সংগঠিত কৃষি বাজার গড়ে ওঠেনি। সুতরাং ত্রুটিপূর্ণ বাজার ব্যবস্থা বাংলাদেশের কৃষির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
১৭/অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা
বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই অনুন্নত। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে বাংলাদেশের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সময়মতো বাজারজাত করতে পারে না। ফলে মোট উৎপাদনের একটি বিরাট অংশ নষ্ট হয়ে যায় যা কৃষি উৎপাদনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে।
১৮/মৌসুমী উৎপাদন
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। ঋতুবৈচিত্র্যতার কারণে বিভিন্ন ঋতু ও মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদিত হয়। তাই এদেশের কৃষি ব্যবস্থা অন্যান্য দেশের কৃষি ব্যবস্থা থেকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী।
১৯/গ্রাম্য মহাজনদের দৌরাত্ম্য
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংক কিংবা ঋণদানকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। এমতাবস্থায় গ্রাম্য মহাজনরা কৃষকদের দুর্বলতার সুযোগে উচ্চহারে সুদের ঋণ দিয়ে থাকে। অনেক কৃষক গ্রাম্য মহাজনদের সুদের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। সুতরাং গ্রাম্য মহাজনদের দৌরাত্ম্য বাংলাদেশের কৃষির বৈশিষ্ট্যসমূহ মধ্যে অন্যতম।
২০/গুদামজাতকরণে অব্যবস্থা
বাংলাদেশের বেশিরভাগ কৃষিপণ্যই একটি নির্দিষ্ট মৌসুমে উৎপাদিত হয় এবং সারা বছর ধরে এগুলোর ভোগ ব্যবহার চলে। কিন্তু যথাযথ গুদামজাতকরণ ব্যবস্থা অপর্যাপ্ততার কারণে এদেশের কৃষকদের উৎপাদন মৌসুমেই ফসল বিক্রি করে দিতে হয়। ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়। সুতরাং গুদামজাতকরণ ব্যবস্থার অপর্যাপ্ততা বাংলাদেশের কৃষির আরেকটি বৈশিষ্ট্য।
শেষ কথা
উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বাংলাদেশের কৃষিব্যবস্থা বিভিন্ন কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের কৃষিব্যবস্থা থেকে পৃথক ও বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। এদেশের অধিবাসীদের প্রধান পেশা কৃষিকাজ হলেও আজও তার কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। কৃষিব্যবস্থার উন্নয়নই যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত, সেহেতু অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এদেশের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন অত্যাবশ্যক।আজকের আর্টিকেলে বাংলাদেশের কৃষির বৈশিষ্ট্যসমূহ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।