শাবান মাসের ফজিলত ও আমল

প্রিয় পাঠক আপনারা কি জানেন শাবান মাসের ফজিলত ও আমল কতটা গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কুরআনে যে চারটি মাসকে অধিক সম্মানিত বলে আখ্যায়িত হয়েছে, তার মধ্যে শাবান মাস অন্যতম। শাবান মাসে নফল নামাজ, নফল রোজা, কুরআন তেলাওয়াত, দরুদ শরীফ পাঠ, দান সদকা প্রভৃতি ইবাদত অধিক ফজিলত পূর্ণ। আজকের আর্টিকেলে শাবান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।

শাবান মাসের ফজিলত ও আমল

পবিত্র শাবান মাস আল্লাহ তায়ালার বিশেষ অনুগ্রহের মাস। এ মাসে বিভিন্ন নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। তাই শাবান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।

ভূমিকা

শাবান মাস আরবি বছরের অষ্টম মাস। এ মাসটি আরবি ১২ মাসের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ফজিলতের মাস। শাবান মাস কে বছরের ফজিলত পূর্ণ মাসের মধ্যে একটি অন্যতম ফজিলতপূর্ণ মাস বলা হয়। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে শবে বরাতের মতো একটি ফজিলতপূর্ণ রাত নিহিত আছে বলে এ মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা অনেক বেশি হয়েছে।


হযরত আবু উমামা বাহেলী (রা:) থেকে বর্ণিত, যখন শাবান মাস শুরু হয়ে যেত তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন, তোমরা এ মাসে তোমাদের অন্তর পাক-পবিত্র এবং নিয়ত সঠিক করে নাও।

শাবান মাসের ফজিলত ও আমল

হযরত আয়েশা (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক সময় এ মাসে একাধারে এত অধিক রোজা রাখতেন, আমরা মনে করতাম তিনি আর রোজা ছাড়বেন না। আবার কখনো এমন হতো যে, একাধারে তিনি রোজা রাখছেন না। তখন আমরা মনে করতাম তিনি আর রোজা রাখবেন না। তার অধিকাংশ রোজা হত শাবান মাসে।

হযরত আয়েশা (রা:) হতে বর্ণিত, হাদিসটি বোখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে, মা আয়েশা বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রমজান ছাড়া কখনো পূর্ণ মাসের রোজা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাস হতে অধিক সংখ্যায় রোজা রেখেছেন তেমন অন্য কোন মাসেও দেখেনি।
অপর এক হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুরো শাবান মাস রোজা রাখতেন। মুসলিম শরীফের বর্ণনাতে আছে, তিনি কয়েকদিন ব্যতীত পুরো সাবান মাস রোজা রাখতেন।

হযরত উসামা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসূল! শাবান মাসে আপনাকে যত অধিক রোজা রাখতে দেখি অন্য মাসে তত অধিক রোজা রাখতে দেখিনা। এর কারণ কি? তিনি বললেন, শাবান মাস রজব ও রমজানের মাঝখানের ফজিলতময় মাস, অথচ লোকেরা এ মাসের ব্যাপারে উদাসীন। মানুষের আমল সমূহ এ মাসে মহান আল্লাহ রাব্বুল আ'লামীনের দরবারে পেশ করা হয়।তাই আমার আমল যখন পেশ করা হয় তখন রোজা অবস্থায় থাকা আমি পছন্দ করি।


হযরত আবুল কাসেম আফফার (রা:) বলেন যে, একদা খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমা (রা:) কে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করলাম: হে খাতুনে জান্নাত! আপনার পবিত্র রুহের প্রতি কি জিনিস বকশিস করলে আপনি সর্বাধিক খুশি হন?জবাবে হযরত ফাতেমা (রা:) এরশাদ করলেন: হে আবুল কাসেম! জেনে নাও যে, শাবান মাসের ৮ রাকাত নফল নামাজ আমি খুব বেশি পছন্দ করি। আর সেটা আদায়ের নিয়ম হলো:

একই সঙ্গে আট রাকাত নামাজের নিয়ত করবে। প্রতি দু' দু' রাকাতের বৈঠকে তাশাহুদের সাথে দরুদ শরীফও পাঠ করতে হবে এবং নামাজের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে ১১ বার করে সূরা ইখলাস পাঠ করতে হবে।হযরত ফাতেমা (রা:) আরো এরশাদ করেন যে, এই নিয়মে ৮ রাকাত নফল নামাজ আদায় করে কেউ আমার উপর সওয়াব রেছানী করলে রোজ কেয়ামতে তার জন্য সুপারিশ না করে আমি বেহেশতে প্রবেশ করব না।

অপর এক হাদীসে বর্ণিত আছে যে, যদি কোন ব্যক্তি শাবান মাসের কোন জুম্মার দিন চার রাকাত নফল নামাজ নিম্নের নিয়মে আদায় করে, তার আমল নামায় একটি কবুল হজ্জের ও একটি কবুল ওমরাহ হজ্জের সওয়াব লেখা হয়। নামাজের নিয়ম হলো:দু' দু' রাকাতের নিয়তে দু'সালামে আদায় করতে হবে এবং প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহার সাথে ৩০ বার করে সূরা ইখলাস পাঠ করতে হবে।

আরেকটি হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, শাবান মাসে কেউ যদি তিন হাজার বার দরুদ শরীফ পাঠ করে তবে তার জন্য শাফায়াত করা আমার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়।

শাবান মাসে শবে বরাতের ফজিলত ও আমল

শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে শবে বরাত বলে। শব অর্থ-রাত্রি, আর বরাত অর্থ-অদৃষ্ট বা ভাগ্য। সুতরাং শবে বরাত অর্থ, ভাগ্য রজনী। শবে বরাত বা ভাগ্য রজনী দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানের নিকট অতি পরিচিত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এ রাতে বান্দার রুজি- রোজগার, হায়াত-মওত, ভালো-মন্দ প্রভৃতি যাবতীয় বিষয় লিপিবদ্ধ করা হয়।

উল্লেখিত কারণেই মানুষের কাছে শবে বরাতের গুরুত্ব অপরিসীম। সারা বছরে একমাত্র শবে কদ্বর ব্যতীত এত অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও মাহাত্ম্য মন্ডিত রাত আর দ্বিতীয়টি নেই। এ মাহাত্ম্য ও গুরুত্বের কারণেই মহান আল্লাহ পাক এ রাত টিকে অফুরন্ত ফজিলত দান করেছেন। শবে বরাত সম্পর্কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে অসংখ্য হাদিস বর্ণিত আছে। এখানে তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হাদিস বর্ণনা করা হলো:

ইমাম সুককী (রহ:)তদীয় তফসীর গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, জুম্মার রাতে ইবাদতের উসিলায় সপ্তাহের গুনাহ মাফ হয় এবং শবে বরাতে ইবাদত করলে সারা জীবনের গুনাহ মাফ হয়ে যায়। এজন্য শবে বরাত কে গুনাহ মাফের রাতও বলা হয়। অনুরূপ এ রাতকে হায়াত বা জীবনের রাতও বলা হয়।

ইমাম মুনযেরী (রহ:) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি দু'ঈদের দুই রাত এবং অর্ধ শাবানের রাত জেগে ইবাদত করবে, তার অন্তর কিয়ামতের দিন মরবে না যেদিন অন্তর সমূহের মৃত্যু হবে।

এ রাতকে শাফায়াতের রাতও বলা হয়। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের জন্য ১৩ই শাবানের রাতে সুপারিশ করেছিলেন, তাতে এক তৃতীয়াংশ কবুল হয়েছিল। এরপর ১৪ই শাবানের রাতে সুপারিশ করেছেন, তাতে কবুল হয়েছে আরেক তৃতীয়াংশ। এরপর ১৫ ই শাবানের রাতের সুপারিশে অবশিষ্ট তৃতীয়াংশ কবুল হয়ে তা পূর্ণতা লাভ করে।

শবে বরাতের এ রাতকে মাগফেরাতের রাতও বলা হয়। ইমাম আহমদ (রহ:) বর্ণনা করেছেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে বান্দাদের প্রতি বিশেষ করুনার দৃষ্টি করেন এবং দুই শ্রেণীর লোক ব্যতীত সকলের মাগফিরাত করে দেন। এ দুই শ্রেণীর মানুষ হল, মুশরিক ও হিংসুক।


যদি কেউ এ রাতে গোসল করে, তবে শরীরের ছিটকানো প্রত্যেক পানির ফোটার পরিবর্তে তার আমলনামায় মহান আল্লাহ পাক ৭০০ রাকাত নফল নামাজের সওয়াব দান করেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক হাদিসে বলেছেন, সেই ব্যক্তির জন্য পরম সৌভাগ্য এবং খুশির কথা যে সাবান মাসের ১৫ তারিখ রাতে ইবাদতে লিপ্ত থাকে।

হযরত আবু বকর (রা:) বলেছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন যে, হে মুমিনগণ! তোমরা শাবান মাসের ১৫ তারিখ রাত জেগে ইবাদত বন্দেগী করো। কেননা ঐ রাতটি অতিশয় বরকত ময় এবং ফজিলত পূর্ণ। এ রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা বলে থাকেন, হে বান্দা গণ! তোমাদের মধ্যে ক্ষমা প্রার্থনা কারী কেউ আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করব।

অপর এক হাদিসে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জিব্রাইল ফেরেশতা এসে আমাকে বলে গেলেন যে,আপনার উম্মত গণকে জানিয়ে দিন যে, তারা যদি শবে বরাতে ইবাদত করে তবে তারা যেন সবে কদ্বরের ইবাদত করল।এ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে শবে বরাতের ইবাদত হবে কদ্বরের ইবাদতের মতই মূল্যবান।

আরেক হাদিসে বর্ণিত আছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এ রাতে যারা ইবাদতে মগ্ন থাকে তাদের প্রতি মহান আল্লাহর ফেরেশতাগণ অবতীর্ণ হয়। তাদের সগীরাহ ,কবিরা গুনাহ সমূহ মহান আল্লাহ পাক ক্ষমা করে থাকেন।

অপর এক হাদিসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জিব্রাইল ফেরেশতা এসে আমাকে বলে গেলেন যে, হে আল্লাহর নবী! আপনি উঠে নামাজ পড়ুন এবং মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন। কারণ এ রাতে মহান আল্লাহপাক তার বান্দার জন্য একশত রহমতের দরজা খুলে দেন। অতএব আপনি আপনার গুনাহগার উম্মাতদের অপরাধ ক্ষমা করে নিন। অবশ্য মুশরিক, জাদুকর, গণক, কৃপণ, সুদখোর,নেশাখোর, এবং ব্যভিচারীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন না। কারণ তাদেরকে আল্লাহ অবশ্যই শাস্তি প্রদান করবেন।

শবে বরাতের নফল রোজা

এক হাদিসে বর্ণিত আছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সাবান মাসের ১৫ তারিখে রোজা পালন করবে, তাকে মহান আল্লাহ পাকের নির্দেশে কখনো দোজখের আগুন স্পর্শ করবে না।

শবে বরাতের নামাজ পড়ার নিয়ম

এশার ফরজ ও সুন্নাতের পরে বেতের নামাজ না পড়ে শবে বরাতের নফল নামাজ সমূহ আদায় করতে হয়। এ রাতে কত রাকাত নফল নামাজ পড়তে হবে তার কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। যত বেশি নফল নামাজ এ রাতে আদায় করা যায় বান্দার জন্য ততই মঙ্গল। এমনকি নফল নামাজ পড়তে পড়তে বা কুরআন তেলাওয়াত, জিকির আজকার, দরুদ শরীফ পাঠ, তাজবিহ-তাহলিল, ইত্যাদি করে রাত অতিবাহিত করে দিলে তা অতি উত্তম এবং তারপর কিছু মিষ্টান্ন বা খাদ্যের ব্যবস্থা হলে তাতে কোন দোষের নেই।

এ নামাজ দুই দুই রাকাতে নিয়তে আদায় করা ভালো। তবে একসাথে নফল নামাজ আরো বেশিও আদায় করাতে কোন দোষ নেই। প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার সাথে তিন তিন বার সূরা ইখলাস পাঠ করা উত্তম। এভাবে সূরা ইখলাস পাঠের সংখ্যা ৫ বার, ৭ বার, ৯ বার,১১ বার, ১৩ বার, অর্থাৎ বিজোর সংখ্যক বার বৃদ্ধি করাও উত্তম। এতে নামাজীর সওয়াব বেশি হবে।

আবার কারো কারো মতে সূরা এত বেশি বার পাঠ না করে ৭ বার বা ১১ বার পাঠ করাই ভালো। অনেক সময় নামাজে সূরা পাঠের সংখ্যা গণনা করতে গিয়ে মনের একাগ্রতা চলে যায়। তাই সূরার সংখ্যা বৃদ্ধি না করে নামাজ বাড়িয়ে পড়াও ভালো। নামাজের প্রতি চার রাকাত অন্তর অন্তর মুনাজাত করা যায়। মুনাজাতের আগে কিছু দোয়া দরুদ এবং তাসবিহ-তাহলিল পড়ে নেওয়া ভালো। যেমন:

উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার

শবে বরাতের নামাজের নিয়ত

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকআতাই ছালাতিল লাইলাতুল বারাতি নাফলি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

শাবান মাসে রোজা রাখা

হযরত আয়েশা (রা:) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন কোন সময় একাধারে অধিক নফল রোজা রাখতেন। আমরা মনে করতাম তিনি হয়তো আর রোজা ভাঙবেন না। আবার যখন রোজা ছাড়া বন্ধ করতেন এমনভাবে যে আমরা ভাবতাম তিনি হয়তো আর নফল রোজা রাখবেন না।

হযরত আয়েশা (রা:) আরো বলেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রমজান ছাড়া অন্য কোন মাসে পুরা মাসের রোজা রাখতে দেখিনি। আর তাকে শাবান মাসের চেয়ে বেশি অন্য কোন মাসে রোজা রাখতে দেখিনি। অন্য এক হাদিসে রয়েছে,তিনি শাবানের গোটা কয়েকদিন ছাড়া প্রায় পুরো মাসেই রোজা রাখতেন।

শবে বরাতে রহমত ও মাগফিরাতের বারি বর্ষণ

হযরত মুআ'জ ইবনে জাবাল (রা:) হতে বর্ণিত রাসূল (সা:) ইরশাদ করেন, শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত্রে মহান আল্লাহ পাক তার সমস্ত সৃষ্টিরাজির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন এবং সমস্ত সৃষ্টিকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু মুশরিক ও জিনাকারী কে ক্ষমা করেন না। (তাবারানী, ইবনে হাব্বান)
অন্য এক রেওয়ায়েত মতে ঝগড়াটে ব্যক্তি, রক্ত সম্পর্ক ছিন্নকারী, পায়জামা,লুঙ্গি টাখনুর নিচে পরিধানকারী, পিতা-মাতার অবাধ্য, মদ্যপানে অভ্যস্ত, নাহক হত্যাকারী এদেরকেও এ রাতে ক্ষমা করা হয় না।

শেষ কথা:

পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে শাবান মাসের বিভিন্ন নফল ইবাদতের মাধ্যমে আমরা সহজে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভের পথ সুগম করতে পারি। শাবান মাস অধিক বরকতময় মাস। এ মাসে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার সাহাবীগণ বিভিন্ন নফল ইবাদতে মগ্ন থাকতেন। তাই আমাদের মুসলমান হিসেবে এই মাসটিতে অধিক নফল ইবাদত করা উচিত। আজকের আর্টিকেলে শাবান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url