রজব মাসের ফজিলত ও আমল
প্রিয় পাঠক আপনারা কি জানেন রজব মাসের ফজিলত ও আমল কতটা গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কুরআনে যে চারটি মাসকে অধিক সম্মানিত বলে আখ্যায়িত হয়েছে, তার মধ্যে রজব মাস অন্যতম। রজব মাসে নফল নামাজ, রোজা,কুরআন তেলাওয়াত, দরুদ শরীফ পাঠ, দান সদকা অধিক ফজিলত পূর্ণ। আজকের আর্টিকেলে রজব মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।
রজব শব্দের অর্থ সম্মানিত। পবিত্র রজব মাসটি আল্লাহ তায়ালার বিশেষ অনুগ্রহের মাস। এই মাসে বিভিন্ন নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। তাই রজব মাসের বিভিন্ন ইবাদত সম্পর্কে জানতে চাইলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইলো।
ভূমিকা
রজব মাস আরবি বছরের সপ্তম মাস। ফজিলতের দিক থেকে রজব মাসের স্থানও ঊর্ধ্বে। এ মাসের মর্যাদা বৃদ্ধির কারণ হলো, এ মাসে কতগুলো বিশেষ উল্লেখযোগ্য ঘটনা আর বিশেষ বিশেষ তারিখ নিহিত রয়েছে যা এ মাসের মর্যাদা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এ মাসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক নফল ইবাদত করতেন।
আরো পড়ুন: জমাদিউস সানি মাসের ইবাদতের বিবরণ
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসটিকে কত বেশি ফজিলত মন্ডিত মনে করতেন সেটা তার নিজের ইবাদত ও নফল আমলের দ্বারা অনুভব করা যায়। সুতরাং এ মাসে নফল ইবাদত করা বান্দাদের জন্য সর্বাধিক কল্যাণ নিহিত আছে।
রজব মাসের ফজিলত ও আমল
রজব মাসের ফজিলত সম্পর্কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার সাহাবায়ে কেরামের বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য হাদিস রয়েছে। যেমন: বিশিষ্ট সাহাবী আনাস ইবনে মালেক (রা:) হতে রাবী যিয়াদ ইবনে ইমরান বর্ণনা করেছেন যে, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) রজবের চাঁদ দেখে তার হাত উত্তোলন করে নিম্নে দোয়া পাঠ করতেন। দোয়াটি হল:
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী রাজাবিও ওয়া শা'বানা ওয়া বাল্লিগনা ইলা শাহরি রামাদ্বানা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদেরকে রজব ও সাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।
লাইলাতুল রাগায়েবের ফজিলত ও আমল
রজব মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতকে লাইলাতুল রাগায়েব বলা হয়। এ রাতে নফল নামাজে মহান আল্লাহ পাক বহু ফজিলত রেখেছেন এবং এই নামাজ আদায়েরও খাছ সময় এবং নিয়ম রয়েছে।
এ নামাজ মাগরিবের নামাজের পরে ১২ রাকাত নফল নামাজ নিম্নের নিয়মে আদায় করতে হয়। মহান আল্লাহ পাক এ নামাজ আদায়কারীকে অশেষ সওয়াব দান করেন।
দু' দু' রাকাতের নিয়তে ৬ সালামে এ নামাজ আদায় করতে হয়। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে ৩ বার সূরা ক্বদর এবং ১২ বার সূরা ইখলাস আদায় করতে হয়। নামাজের সালাম ফিরিয়ে ৭০ বার নিচের দরুদ শরীফ পাঠ করতে হয়।
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ'লা মুহাম্মাদিনিন্নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আ'লা আলিহী।
তারপর একটি সিজদায় গিয়ে নিম্নের দোয়া ৭০ বার পড়বে:
উচ্চারণ: সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি ওয়াররূহ।
সিজদা হতে মাথা উঠিয়ে নিম্নের দোয়া ৭০ বার পাঠ করতে হবে।
উচ্চারণ: রাব্বিগফিরলি ওয়ারহাম ওয়া তাজাওয়ায আ'ম্মা তা'লাম ফাইন্নাকা আনতাল আ'লিয়্যুল আজীম।
তারপর আরেকটি সিজদায় গিয়ে পূর্ববর্তী সিজদার দোয়াটি ৭০ বার পাঠ করবে। এবার সিজদাহ হতে মাথা উঠিয়ে আবার পূর্বেকার বসা অবস্থায় পঠিত দোয়াটি ৭০ বার পাঠ করবে। এ আমলের পরে মহান আল্লাহ পাকের দরবারে মোনাজাত করবে। এ আমলের বরকতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার যেকোনো দোয়া কবুল করবেন।
শবে ইস্তেফতাহের ফজিলত ও আমল
ওলামায়ে কেরাম ও মাশায়েখে ইমামগণ রজব মাসের ১৫ তারিখ কে ইস্তেফতাহ নামে আখ্যায়িত করে থাকেন। তারা নিজ নিজ কিতাবে বর্ণনা করেন যে, নিম্নের নিয়মে এ রাতে ৭০ রাকাত নফল নামাজ আদায় করলে এ নামাজের বদলাতে দুনিয়াতে যত বৃক্ষ আছে এবং তাতে যত পাতা আছে সেই পরিমাণ নেকি তার আমলনামায় দেয়া হবে এবং তাতে অফুরন্ত ফজিলত অর্জিত হবে।
আরো পড়ুন: জমাদিউল আউয়াল মাসের ইবাদতের বিবরণ
এ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বহু কিতাবে বর্ণিত আছে যে, এ নামাজ আদায় করে যদি মহান আল্লাহর দরবারে যেকোনো মুনাজাত করা হয়,মহান আল্লাহ তা অবশ্যই পূরণ করে থাকেন। নামাজ আদায় কারীর যাবতীয় গুনাহ মাফ করা হয় এবং মৃত্যুর পর তার কবর সর্বদা আলোকিত থাকে। অত্যন্ত ধর্ম ভীরু, পরহেজগার এবং শহীদগণের সাথে তার হাশর হবে এবং তারা নবী রাসুলদের সাথে সাথে বেহেস্তে প্রবেশ করবেন।
নামাজ পড়ার নিয়ম হলো: এ নামাজ মাগরিবের ফরজ ও সুন্নাতের পর দু' দু' রাকাত করে নিয়ত করে চার সালামে আদায় করতে হয়। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে তিনবার করে সূরা ইখলাস পাঠ করতে হবে।
কোন কোন কিতাবে উল্লেখ আছে যে, এ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করলে ৫০ রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে। দু' দু' রাকাত নিয়তে পঁচিশ সালামে এ নামাজ আদায় করতে হবে। সূরা ফাতিহার সাথে যে কোন সূরা মিলিয়ে আদায় করা যায়। তবে তিনবার সূরা ইখলাস মিলিয়ে আদায় করা উত্তম এবং ফজিলত অধিক।
কোন কোন কিতাবে এমনও বর্ণিত আছে যে, এ রাত্রে মাগরিব নামাজের পর নিম্নের নিয়মে ৮ রাকাত নফল নামাজ পড়লে মহান আল্লাহ পাক নামাজ আদায়কারীর জীবনের সকল সগীরাহ গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং তাকে অশেষ সওয়াব দান করবেন। নামাজ দু' দু' রাকাতের নিয়তে পড়তে হবে। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে তিনবার করে সূরা ইখলাস পাঠ করতে হবে।
আরো পড়ুন: রবিউল আউয়াল মাসের ইবাদাতের বিবরণ
একটি হাদিসে বর্ণিত আছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, রজব মাসে এমন একটি নির্দিষ্ট তারিখ আছে সে তারিখের রোজা রেখে নফল নামাজ আদায় করলে মহান আল্লাহ পাক তার আমলনামায় ১০০ বছরের রোজা ও ১০০ বছরের নফল নামাজের সওয়াব লিখে দিবেন
রজব মাসের নফল নামাজ
বিভিন্ন কিতাবে আরো বর্ণিত আছে যে, রজব মাসের পাঁচটি রাত ইবাদতের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো হলো, ১,১৫,২৮,২৯ ও ৩০ তারিখের রাত। রজবের প্রথম তারিখ মাগরিব নামাজের পরে সুরা ফাতিহার সাথে তিনবার সূরা ইখলাস দ্বারা দুই দুই রাকাত করে দশ সালামের ২০ রাকাত নফল নামাজ আদায় করলে মহান আল্লাহ তা'আলা তার ইহকাল এবং পরকালে বহু কল্যাণ সাধিত করবেন।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কনিষ্ঠ সাহাবী হযরত সালমান ফারসী (রা:) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (সা:) সাহাবীদেরকে লক্ষ্য করে বলেন, হে আমার প্রিয় সহচরবৃন্দ! ফেরেশতা জিব্রাইল আমাকে রজব চাঁদের নফল নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানিয়ে দিলেন যে, শুধু গায়রে মুমিনই এ নামাজ হতে বেনসীব থাকতে পারে এবং কেবল মাত্র মুশরিক ও মুনাফিক এটা পরিহার করতে পারে। এছাড়া প্রকৃত কোন মুমিন বা মুসলমান কখনো এ নামাজের প্রতি অবহেলা করতে পারে না।
আরো পড়ুন: জিকিরের গুরুত্ব ও ফজিলত
হযরত সালমান ফারসী (রা:) বললেন যে: রাসূল (সা:) এর বাণী শুনে আমি আরজ করলাম, হে আল্লাহর দোস্ত! আপনি অনুগ্রহ পূর্বক আমাদেরকে জানিয়ে দিন, আমরা এ নামাজ কি নিয়মে আদায় করব? তখন রাসূল (সা:) আমাদেরকে এ নামাজ আদায়ের রীতিনীতি শিখিয়ে দিলেন।
রাসুল (সা:)বললেন: তোমরা রজব মাসের প্রথম রাতে ১০ রাকাত নফল নামাজ দুই দুই রাকাত করে নিয়ত করে ৫ সালামে আদায় করবে।তারপর নিচে দোয়াটি পাঠ করে আল্লাহর নিকট মোনাজাত করবে উক্ত দোয়া পাঠ করে মহান আল্লাহর নিকট যা প্রার্থনা করবে তা অবশ্যই তিনি কবুল করবেন। দোয়াটি হল:
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ইয়ূহয়ী য়া ইয়ুমীতু ওয়া হুয়া হাইয়্যুল ইয়ামূতু বিইয়াদিহিল খাইরু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। আল্লাহুম্মা লা মানিআ লিমা আ'ত্বাইতা ওয়ালা মু'ত্বীয়া লিমা মানা'তা ওয়ালা ইয়ান ফাউ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।
এবার রাসুল (সা:) এরশাদ করলেন: তারপর তোমরা রজব মাসের ১৫ তারিখ রাতে ১০ রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে। এ নামাজও পূর্বের মত দুই দুই রাকাত নিয়তে ৫ সালামে আদায় করবে এবং প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর তিনবার সূরা কাফিরুন এবং তিনবার সূরা ইখলাস পাঠ করবে।নামাজ শেষে দু'হাত তুলে মহান আল্লাহর দরবারে যা প্রার্থনা করবে আল্লাহ তা কবুল করবেন। দোয়াটি হলো:
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ইয়ূহয়ী ওয়া ইয়ুমীতু ওয়া হুয়া হাইয়্যু লা ইয়ামূতু বিইয়াদিহিল খাইরু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।ইলাহাও ওয়াহিদান ছামাদান ফারদান বিতরাল লাম ইয়াত্তাখিযু ছাহিবাতাও ওয়াল ওয়ালাদা।
রাসুল (সা:) আরো বলেন যে: তোমরা রজব মাসের ৩০ তারিখ রাতেও ১০ রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে। এ নামাজেও পূর্বের নিয়মে দুই' দুই' রাকাত করে ৫ সালামে আদায় করবে। প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহার সাথে তিনবার সূরা কাফিরুন এবং তিনবার সূরা ইখলাস পাঠ করবে।এ নামাজের পরে মহান আল্লাহ পাকের দরবারে যে প্রার্থনা করবে তিনি তা কবুল করবেন। দোয়াটি হল:
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ইয়ূহয়ী ওয়া ইয়ুমীতু ওয়া হুয়া হাইয়্যু লা ইয়ামূতু বিইয়াদিহিল খাইরু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।ওয়া ছাল্লাল্লাহু আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহিত ত্বাহিরিনা ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আ'লিয়ু্ল আজীম।
অতঃপর রাসূল (সা:) বলেন: এ দোয়া পাঠ করে মনে মনে যে কোন আরজ আল্লাহ পাকের দরবারে পেশ করলে মহান আল্লাহ পাক অবশ্যই কবুল করবেন। এ নামাজ আদায়কারী এবং দোয়া সমূহ আদায়কারী এবং দোজখের মধ্যখানে অন্তত: ৭০ টি খন্দক থাকবে। আর এ খন্দকের প্রশস্ততা ৫০০ বছরের পথের সমান হবে। এছাড়াও উপরোক্ত নামাজ আদায়কারীর নামাজের প্রত্যেক রাকাতের বিনিময়ে মহান আল্লাহ পাক হাজার রাকাত নামাজের সওয়াব দান করবেন।
বর্ণিত আছে যে, হযরত সালমান ফারসী (রা:) এই হাদিসটি শোনার পর হতে আর কোনদিনই এ নফল নামাজ কাজা করেননি।
রজব মাসের নফল রোজা
বিভিন্ন কিতাবে উল্লেখ করা আছে যে, রজব মাসের যে কোন তারিখে রোজা রাখলে অশেষ সাওয়াব পাওয়া যায় । একটি কিতাবে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন একদিন এক কবরস্থানের পাশ দিয়ে গমন কালে দেখতে পেলেন, এক কবরবাসীর উপর ভীষণ আজাব হচ্ছে এবং সে চিৎকার করে বলছে, হে আল্লাহর রাসূল (সা:)! আমার কাফন, কবর সব আগুনে পরিণত হয়ে গেছে।
আমাকে রক্ষা করুন, আমার জন্য দোয়া করুন। তখন রাসূল (সা:) বললেন, হে হতভাগা! তুমি যদি রজব মাসে একটি রোজাও রাখতে তবে তোমার প্রতি কখনোই এত আজব হত না। এরপর রাসূল ১০০ বার সূরা ইখলাস পড়ে তার সওয়াব লোকটির প্রতি বখশিষ করলেন। মহান আল্লাহ পাকের রহমতে সাথে সাথে তার কবরের আজাব বন্ধ হয়ে গেল।
হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে, বেহেস্তে দুধের মত সাদা পানি বিশিষ্ট রজব নামের একটি ঝর্ণা আছে। মহান আল্লাহ পাক রজব মাসের রোজাদার ব্যক্তিকে কেয়ামতের দিন ঐ ঝর্ণার পানি পান করাবেন এবং দোজখের আযাব হতে রক্ষা করবেন।
হযরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রজব মাসের ২৭ তারিখে রোজা রাখবে, সে যেন ষাট মাসের রোজা রাখল। তবে ঐ দিনের রোজা সুন্নাত মনে করে নয়,বরং অন্যান্য দিনে রোজার মতো মনে করতে হবে।
এমনি ভাবে হযরত আনাস (রা:) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি রজব মাসের ২৭ তারিখে ইবাদত করবে, তার আমলনামায় একশত বছরের ইবাদতের সওয়াব লেখা হবে।
হযরত আয়েশা (রা:) বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রজব ও সাবান মাসে যত বেশি রোজা রাখতে দেখেছি, রমজান মাস ছাড়া অন্য কোন মাসে এত বেশি রোজা রাখতে দেখিনি।
শেষ কথা:
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে রজব মাসের বিভিন্ন নফল ইবাদতের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভের পথ সুগম করতে পারি। তাই শ্রেষ্ঠ নবীর উম্মাত হিসেবে আমাদের প্রত্যেকটি মুসলমানের উচিত এই মাসে বেশি বেশি নফল ইবাদত বন্দেগীতে মগ্ন থাকা। আজকের আর্টিকেলে রজব মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে সঠিকভাবে তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি যে পড়বেন সে রজব মাসের ইবাদত গুলো সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করবেন।