প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা
প্রিয় পাঠক আপনারা কি জানেন প্রস্রাবের ইনফেকশন কতটা ক্ষতিকর ও ভয়াবহ। বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ নারী ও পুরুষ এই রোগে ভুগছেন। আজকের আর্টিকেলে প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা, প্রস্রাবের ইনফেকশনের কারণ, প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণ ও সতর্কমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।
যেসব নারী ও পুরুষ প্রস্রাবের ইনফেকশনে ভুগছেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অনেক উপকৃত হবে। কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে প্রস্রাবের ইনফেকশনের কারণ,লক্ষণ ও প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা ও সতর্কীকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
ভূমিকা
প্রস্রাবের ইনফেকশন ছেলে ও মেয়ে এবং যেকোনো বয়সে উভয়েরই হতে পারে। মূত্র তন্ত্রের যেকোনো অংশে যদি জীবাণু সংক্রমণ হয় তাহলে সেটাকে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বলা হয়। এই প্রস্রাবের ইনফেকশন সময় মত চিকিৎসা না করলে কঠিন রোগের আকার ধারণ করতে পারে। এই প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধের জন্য আমরা চিকিৎসকের ঔষধের পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগ দূর করতে পারি।
প্রস্রাবের ইনফেকশনের কারণ
ইউরিনারি ট্র্যাক্ট প্রস্রাবের ইনফেকশনের মূল কারণ হলো ই কোলাই ব্যাকটেরিয়া। দেখা যায় যে আমাদের অন্ত্রের ভেতরেই এই ব্যাকটেরিয়া থাকে। ইউরিনারি ট্র্যাক্টের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে কোন ভাবে প্রবেশ করলে সমস্যা দেখা দেয়। প্রস্রাবের ইনফেকশন পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি হয়ে থাকে। কারণ প্রস্রাবের ইনফেকশনের জন্য নারীদের যৌনাঙ্গের গঠন কিছুটা দায়ী।
মেয়েদের মুত্রনালী পায়ুর খুব কাছাকাছি থাকে বলে মলদ্বার দিয়ে নির্গত ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই মূত্রনালীতে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়াও মেয়েদের মুত্রনালী অনেক ছোট হওয়ায় ব্যাকটেরিয়া খুব সহজে মূত্রথলিতে ও কিডনিতে পৌঁছে ইনফেকশন ঘটাতে পারে।এছাড়াও কিছু প্রস্রাবের ইনফেকশনের কারণ রয়েছে যেমন:
- পানি খুব কম খেলে
- প্রস্রাব বেশিক্ষণ চেপে রাখলে
- গোপনাঙ্গ পরিষ্কার না করলে
- প্রতিদিন ঠিক মতো গোসল না করলে
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান না করলে
- খুব টাইট অন্তর্বাস পড়লে
- মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন অনেকক্ষণ ব্যবহার করলে
- যৌন মিলনের সময় কনডম ব্যবহার না করলে
- উপরোক্ত কারণগুলোর কারণে প্রস্রাবের ইনফেকশন হতে পারে
প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণ
প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা করার জন্য অবশ্যই প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো কি কি আগে জেনে নিতে হবে। প্রস্রাবের ইনফেকশনের কিছু লক্ষণ তুলে ধরা হলো:- প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হওয়া ও ব্যথা অনুভব করা
- প্রস্রাব হলদে রং বা ঘোলাটে এবং প্রচন্ড গন্ধযুক্ত হওয়া
- স্বাভাবিকের চেয়ে ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া
- প্রস্রাব পুরোপুরি ভাবে সম্পূর্ণ না হওয়া
- ফোঁটা ফোঁটা করে অনেকক্ষণ ধরে প্রস্রাব হওয়া।
- রাতে বারবার প্রসাবের বেগ আসা।
- প্রস্রাবের সময় তলপেট অনেক ব্যথা করা
- প্রস্রাবের সাথে অনেক সময় রক্ত যাওয়া
- প্রস্রাবের সাথে অতিরিক্ত সাদাস্রাব যাওয়া।
- কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা
- কোমরের পেছনে অর্থাৎ পাঁজরের ঠিক নিচের অংশে ব্যথা হওয়া।
- হঠাৎ প্রস্রাবের বেগ আশা এবং বেগ ধরে রাখতে সমস্যা হওয়া।
- ঘনঘন জ্বর হওয়া এবং মুখে অরুচি দেখা দেয়া
- ক্লান্তি ভাব ও বমি বমি লাগা
প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা
প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে বিভিন্ন রকম।নিম্নে কয়েকটি পদ্ধতি তুলে ধরা হলো:
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা
প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে চিকিৎসকরা সবসময় বেশি বেশি পানি পান করার পরামর্শ দেন। প্রতিদিন অন্তত তিন থেকে চার লিটার পানি পান করা অতি জরুরী। কারণ অধিক পানি পান করলে প্রস্রাবের বেগ বৃদ্ধি পায় এবং প্রস্রাবের সাথে শরীর থেকে সমস্ত জীবাণু বের হয়ে যায়।
ডাবের পানি
প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসাবে ডাব খাওয়া অতি জরুরী। প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে প্রায় প্রতিটি ডাক্তার ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন। ডাবের পানিতে আছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমন: পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,ক্যালসিয়াম,সোডিয়াম, প্রভৃতি।
আরো পড়ুনঃ কিডনি ভালো রাখার উপায় কি জেনে নিন
এছাড়াও ডাবের পানিতে আছে প্রচুর পরিমাণ এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। ডাবের পানি শরীরের বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়। অর্থাৎ শরীর হয় বিষমুক্ত। ডাব শরীরের পানি শূন্যতা দূর করে এবং প্রস্রাবের ইনফেকশন কমায়।
ভিটামিন সি যুক্ত ফল
ভিটামিন সি যুক্ত ফল যেমন: পেয়ারা, আমড়া,লেবু,কমলা, কিউই,স্ট্রবেরি,মুসাম্বি,মাল্টা,জাম্বুরা, আমলকি,নানা রকম বেরিয়ে জাতীয় ফল প্রভৃতি।এইসব ফলে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল যা প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে দারুন কার্যকরী।
প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে প্রতিদিন অন্তত ভিটামিন সি যুক্ত যেকোনো দুটি ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে চিকিৎসকরা প্রতিদিন অন্তত ৫০০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শ দেন। ভিটামিন সি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং মূত্রথলি ভালো রাখে ও প্রস্রাবের সময় জ্বালা ভাব কমায়।
আনারস
প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসাবে আনারস খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। চিকিৎসকরা প্রসাবের ইনফেকশন আক্রান্ত রোগীদের সাধারণত ব্রোমেলাইন সমৃদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করে থাকেন। পুষ্টিবিদদের মতে আনারসে প্রচুর পরিমাণ ব্রোমেলাইন নামক একটি উপকারী এনজাইম রয়েছে। তাই প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে প্রতিদিন অন্তত এক থেকে দুই কাপ আনারস খাওয়া উচিত।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা দ্রুত প্রসাবের ইনফেকশন সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। আধা চামচ বেকিং সোডা এক গ্লাস পানিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন এরপর দিনে একবার পান করুন। কয়েকদিনের মধ্যেই দেখা যাবে প্রস্রাবের জ্বালা,ব্যথা,ঘন ঘন প্রস্রাব থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যাবে। সুতরা প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসাবে বেকিং সোডা অত্যন্ত কার্যকরী। তবে বেশি মাত্রায় বেকিং সোডা গ্রহণ করলে শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করতে পারে।
প্রবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার
প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে চিকিৎসকরা প্রোবায়োটিক জাতীয় খাদ্য বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এই খাদ্য ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। দই,ঘোল,ধোকলা,আচার,প্রবায়োটিকের ভালো উৎস। সুতরাং দই খেলেও ভালো উপকার পেতে পারেন।
ব্রকলি
শীতের একটি জনপ্রিয় সবজি ব্রকলি। আর এই ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি করে। এছাড়াও ভিটামিন সি প্রসাবের ইনফেকশনের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয়।
শসা
শসাতে রয়েছে হাজার গুণ। শসাতে প্রায় ৯৬ শতাংশই পানি রয়েছে। এছাড়া শসাতে রয়েছে ভিটামিন সি,ভিটামিন কে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে আমাদের বাঁচায়। তাই প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে প্রতিদিন অন্তত একটি করে শসা খাওয়া উচিত।
পেঁপে
প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে পেঁপের অধিক কার্যকরী একটি উপাদান। কাঁচা ও পাকা উভয় পেঁপে ইনফেকশন রোধের জন্য খেতে পারেন। পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, মিনারেল, আইরন, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,বিটাক্যারোটিন, লুটেইন প্রভৃতি।এই পেঁপে ইনফেকশন তৈরিতে দায়ী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে দেয় না। এছাড়াও পেঁপে ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির করে।
আদা
আদা একটি উৎকৃষ্ট ভেষজ গুণসম্পন্ন একটি মসলা জাতীয় ফসল। আদাতে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ বিদ্যমান রয়েছে। আদতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,ভিটামিন সি,অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ও এন্টি ইনফ্লামেটরি এজেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে আমাদের বাঁচায়। সুতরাং প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে আমরা আদা খেতে পারি।
দারুচিনি
দারুচিনিতে প্রচুর পরিমাণ এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। আর এই অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বেড়ে উঠতে বাধা দেয়। এক গবেষণায় জানা গেছে বেশিরভাগ প্রস্রাবের ইনফেকশন হওয়ার জন্য দায়ী ই. কলি ভাইরাস। এই ভাইরাস কে প্রতিরোধ করতে পারে দারু চিনি। রাতে দারুচিনি ভিজিয়ে রেখে সকালে এই পানি সামান্য তাপে ফুটিয়ে পান করলে প্রস্রাবের ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
রসুন
যেকোনো ইনফেকশন রোধে কাঁচা রসুন খাওয়া দারুণ কার্যকরী। প্রতিদিন অন্তত দুই কোয়া রসুন খেলে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রসুনে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ,জন্ম এবং বংশ বিস্তারে বাধা প্রদান করে। সুতরাং প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে প্রতিদিন দুই কোয়া করে কাঁচা রসুন খেতে পারেন। তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন দিনে দুই কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন না খাওয়াই ভালো।
প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে কিছু সতর্কীকরণ
প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা পাশাপাশি কিছু সতর্কীকরণ পন্থা অবলম্বন করতে হবে তাহলে ইনফেকশন রোধে অনেক সুফল পাওয়া যাবে। নিম্নে কিছু সতর্কীকরণ বর্ণিত হলো:
- খুব বেশিক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখা উচিত নয়। কারণ এতে সংক্রমণ আরো বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- যৌন মিলনের সময় কনডম ব্যবহার করা উচিত।
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন,ঢিলেঢালা,সুতি পোশাক এবং নিয়মিত গোসল করা খুব জরুরী।
- অধিক মসলাযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত করা খাবার এড়িয়ে চলুন।কারণ এতে মূত্রাশয়ের সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
- অধিক চিনি ও চিনি যুক্ত খাবার বর্জন করুন। কারণ অধিক চিনি খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায় এবং ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ায়। এ কারণে দেখা যায় যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই তাদের প্রস্রাবের ইনফেকশন অধিক বার হয়ে থাকে।
- চা,কফি,অ্যালকোহল,ক্যাফেইন,ধূমপান অর্থাৎ সকল নেশা জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে। এসব খাবার মূত্রাশয়ের সংক্রমণ বাড়াতে পারে।
- প্রচুর পরিমাণ সবুজ,শাকসবজি,ফলমূল ও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া উচিত।
- প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে তা দ্রুত কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।এজন্য দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী
- প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বাজার চলতি কিছু ঔষধ ব্যবহার করেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাওয়া উচিত নয়।
- খাদ্য গ্রহণ ও সতর্কতার পাশাপাশি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন মতো এন্টিবায়োটিক কোর্স পুরো শেষ করার চেষ্টা করুন।
শেষ কথা
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে দীর্ঘদিনের প্রস্রাবের সংক্রমণ বাড়াতে পারে লিভার ও কিডনির নানা রোগ। তাই অবহেলা না করে এই রোগ প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আজকের আর্টিকেলে প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা, প্রস্রাবের ইনফেকশনের কারণ,প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণ ও সতর্কীকরণ সার্বিক বিষয় তুলে ধরেছি।আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।