কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ-কিডনির পাথর দূর করার উপায়
প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন মানবদেহের জন্য কিডনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এই কিডনিতে সমস্যা হলে, শরীরের সবকিছু ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। আজকের আর্টিকেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ-কিডনির পাথর দূর করার উপায়, কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।
আজকের আর্টিকেল টি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ-কিডনির পাথর দূর করার উপায়, কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে। সুতরাং আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার অনুরোধ রইলো।
ভূমিকা
কিডনি মানব দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কিডনি রক্তের উপস্থিত দূষিত পদার্থগুলো পরিশোধন করে এবং প্রস্রাবের দ্বারা সেই দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। অর্থাৎ কিডনি শরীরের ছাঁকুনি বা ফিল্টারের মত কাজ করে। কিডনি রক্ত পরিশোধন করে এবং শরীরের পানি ও লবণের ভারসাম্য বজায় রাখে।
আরো পড়ুন: কিডনি ভালো রাখার উপায় কি জেনে নিন
রক্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি হরমোন রেনিন যা কিডনি থেকে নিঃসারিত হয়। প্রতিদিন একটি কিডনি ১২০ থেকে ১৫০ লিটার রক্ত পরিশোধিত করে এবং এক থেকে দুই লিটার দূষিত বর্জ্য শরীর থেকে বের করে দেয়। তাই কিডনিতে সমস্যা হলে শরীরের সবকিছু ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ
কিডনিতে পাথর হওয়ার কোন একক কারণ নেই। বিভিন্ন কারণের ফলে কিডনিতে পাথর বিকশিত হতে পারে। কিছু বিষয় রয়েছে যা কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ নিম্নে বর্ণিত হলো:
- শরীরে পানির স্বল্পতা বা ডিহাইড্রেশন এর কারণে কিডনিতে অধিক পরিমাণ পাথর হতে দেখা যায়। এজন্য মরুভূমি অঞ্চলের মানুষের কিডনিতে পাথর হতে বেশি দেখা যায়।
- অধিক পরিমাণ কাঁচা লবণ খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দৈনন্দিন জীবনে মানুষের শরীরে প্রতিদিন মাত্র ১ চা চামচ লবণের চাহিদা থাকে। তাই প্রতিদিন ১ চা চামচের বেশি কাঁচা লবণ খাওয়া উচিত নয়।
- শরীরে যদি ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায় তাহলে কিডনিতে পাথর হতে দেখা যায়।
- ভিটামিন A ডিফিয়েন্সি অর্থাৎ শরীরে ভিটামিন A অভাবে কিডনিতে পাথর হতে পারে।
- যারা ক্যালসিয়াম জাতীয় ট্যাবলেট প্রচুর পরিমাণ খেয়ে থাকেন তাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
- জেনেটিক কারণ অর্থাৎ বংশগত কিডনি পাথর রোগের ইতিহাস থাকলে, কিডনিতে পাথর হওয়া সম্ভাবনা থাকে।
- কিডনিতে বারবার সংক্রমণ এবং এর যথোপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ না করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- যারা পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলমূল ও শাক সবজি গ্রহণ করে না, তাদেরও কিডনি তে পাথর হওয়া সম্ভাবনা থাকে।
- যেসব মানুষের ইনফ্লামেটরি বাওয়েল রোগ থাকে, তাদের কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
- কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ হিসেবে ধরা হয় অধিক পরিমাণ লাল মাংস গ্রহণ করা যেমন: গরুর মাংস, খাসির মাংস, ভেড়ার মাংস, মহিষের মাংস প্রভৃতি।
- যাদের দীর্ঘদিন ধরে শুয়ে থাকতে হয়।অর্থাৎ কোমরের হাড্ডি ভেঙ্গে গেছে,মেরুদন্ড অথবা পায়ের হাড্ডি ভেঙ্গে গেছে ফলে দীর্ঘদিন শুয়ে থাকতে হয়।এই শুয়ে থাকার কারনেও কিডনিতে পাথর হয়।
- কখনো কখনো কিডনির ভেতরে বা প্রস্রাবের ভেতরে এক ধরনের উপাদান থাকে যাদেরকে আমরা বলি প্রস্রাবের পাথর নিরোধক উপাদান। সাধারণত এটি হলো ইউরেনারি সাইট্রেট। এই সাইট্রেট যদি কম হয় প্রস্রাবের ভেতরে তাহলে প্রস্রাবের পাথুরি রোগ বা কিডনির পাথর হতে পারে।
- দীর্ঘদিন প্রস্রাবের ইনফেকশন থাকলে তা যদি প্রোটিয়াস,ই কোলাই এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ইনফেকশন হয়। অর্থাৎ প্রসবের ইনফেকশন থেকেও কিডনিতে পাথর হতে পারে। সেগুলো হবে অনেক বড় বড় পাথর।
- অধিক ভিটামিন সি যুক্ত খাবার কিডনিতে পাথর সৃষ্টি করে। মানুষের শরীরের দৈনিক ভিটামিন সি এর চাহিদা ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি নয়। তাই কিডনি ভালো রাখতে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রামের কম ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।
- কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ হিসেবে আমরা ধরতে পারি অধিক সময় প্রস্রাব ধরে রাখার অভ্যাস থাকলে। কিডনি শরীরের দূষিত পদার্থ রক্ত থেকে আলাদা করে প্রস্রাবের দ্বারা বের করে দেয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে যদি প্রস্রাব আটকে রাখা যায়,তাহলে মূত্রথলিতে বিভিন্ন সংক্রমণ সৃষ্টি হয় এবং এই বর্জ্য জমে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- অক্সালেট জাতীয় শাকসবজি যেমন: কচু,কচুর লতি, কচুর শাক,গাজর,মুলা,ফুলকপি, পুঁইশাক,পালংশাক অধিক পরিমাণ খাওয়া উচিত নয়। এইসব শাকসবজি কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ হিসেবে ধরা হয়। তবে এইসব সবজি পরিমিত পরিমাণ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
- উচ্চ রক্তচাপের কারণে আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষের কিডনি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে স্থায়ীভাবে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়াকে বলা হয় CKD বা ক্রনিক কিডনি ডিজিজ। সুতরাং কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ হিসেবে ধরা হয় অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ।
- অধিক পরিমাণ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে কিডনিতে পাথর হওয়া সম্ভাবনা থাকে। আবার দেখা যায় শরীরে যদি অধিক পরিমাণ ক্যালসিয়াম ঘাটতি থাকে তাহলেও কিডনিতে পাথর হয়।
- অনেকের শরীরে ফসফরাস,ক্যালসিয়ামসহ নানা খনিজের বিপাকের সমস্যা সৃষ্টি হয়। সেই পরিস্থিতিতে জমতে পারে কিডনিতে পাথর।
- কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ হিসেবে ধরা হয়, অত্যাধিক পরিমাণে দুধ,পনির অর্থাৎ দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ হিসেবে ধরা হয় অত্যাধিক শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেলে। শরীরের ওজন বাড়তে থাকলে কিডনির উপর চাপ পড়ে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যাদের অতিরিক্ত শারীরিক ওজন বেশি তাদের কিডনি রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।
- মুঠো মুঠো ঔষধ খাওয়া পরিহার করা উচিত। কারণ প্রায় সকল ঔষধি কিডনির জন্য ক্ষতিকারক। ঔষধ সেবনে সতর্ক না হলে কিডনিতে পাথর হতে পারে।
কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ
কিডনিতে পাথর হলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশিত পায়।এই লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেলে অবশ্যই চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে।লক্ষণ গুলো যেমন:
- মাঝে মাঝে তীব্র পিঠে ব্যথা হওয়া,
- প্রস্রাবের সময় রক্তক্ষরণ হওয়া,
- গোলাপি, বাদামি বা লাল প্রস্রাব হওয়া,
- ঘন ঘন কাঁপুনি দিয়ে জ্বর হওয়া,
- অত্যাধিক অবসাদ অনুভব করা,
- প্রস্রাবের সংক্রমণ হওয়া,
- ঘনঘন ঠান্ডা লেগে থাকা,
- ঘোলাটে এবং দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব,
- বমি বমি ভাব অর্থাৎ খাবারে অরুচি হাওয়া,
- প্রস্রাবের সময় ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করা,
- ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া এবং স্বাভাবিকের তুলনায় প্রস্রাব বেশি পরিমাণে হওয়া,
- তলপেটের নিচে এবং কুচকিতে মাঝে মাঝে প্রচন্ড ব্যথা হওয়া,
- পাঁজরের নিচে অসহ্য যন্ত্রণা করা এবং এই ব্যথার তীব্রতা উঠানামা করে,
কিডনির পাথর দূর করার উপায়
কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে পারলাম এবার জানব কিডনির পাথর দূর করার উপায় সম্পের্কে। কিডনির পাথর রোগের চিকিৎসা অতি সহজ সুলভ এবং অতি সস্তা বর্তমান বাংলাদেশ। এই চিকিৎসা কিডনির উপর তো নয় এবং দেহের উপর কোন রকম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।
যদি আপনি দেরি করেন চিকিৎসা করতে তাহলে নানান রকম সমস্যা সৃষ্টি হবে এবং ব্যথা,বেদনা থেকে শুরু করে কিডনি বিকল পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত কিডনি ডায়ালাইসিস এবং কিডনি প্রতিস্থাপন পর্যন্ত করতে হতে পারে। কিডনির পাথরের আকারের উপর নির্ভর করে চিকিৎসকরাহ কিডনির চিকিৎসা করে থাকেন।
কিডনির পাথর যদি খুব ছোট হয় তাহলে চিকিৎসকরাহ অপারেশন করেন না। কিডনিতে পাথরের আকার যদি বড় হয় তাহলে চিকিৎসকরাহ বিভিন্ন উপায় এই পাথর বের করে। যেমন: শব্দ তরঙ্গ এক্সট্রাকপোর্রিয়াল শকওয়েভ লিথোট্রিপসি, যাকে সাধারণত ESWL বলা হয়।
কিডনির পাথর ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবহৃত হয় এ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে কিডনির পাথর গুলো খুব ছোট কনাতে ভেঙে দেয় যার ফলে প্রস্রাবের মাধ্যমে খুব সহজে বেরিয়ে যেতে পারে। এছাড়াও কিডনির পাথর দূর করার জন্য ডাক্তাররা বিভিন্ন সার্জারি করে থাকেন।
আবার দেখা যায় ছোট টেলিস্কোপ এবং কিছু যন্ত্র আপনার পিঠে একটি ছেদ দিয়ে আপনার শরীরে প্রবেশ করানোর মাধ্যমে কিডনির পাথর বের করে আনা হয়। এভাবে বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে চিকিৎসকরাহ কিডনির পাথর বের করে থাকে।
কিডনির পাথর দূর করার ঘরোয়া উপায়
কিডনিতে পাথর হলে কিডনি ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে পড়ে। তাই ডাক্তারের চিকিৎসার পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু চিকিৎসা করা অতি জরুরী।ঘরোয়া উপায়েও কিডনির পাথর সহজে বের করা যায়। কিডনির পাথর দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় বর্ণিত হল:
তুলসী পাতার রস: তুলসীর পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিটিক অ্যাসিড থাকে যা সহজে কিডনির পাথরকে ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। কিডনির পাথর দূর করতে প্রতিদিন অন্তত দুইবার তুলসী পাতার রস খান ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ করে। আবার তুলসী পাতার চা করেও খেতে পারেন।
ডালিম ফলের রস: ডালিম ফলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা কিডনিকে সুস্থ রাখতে এবং পাথর ও অন্যান্য টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। সুতরাং কিডনির পাথর দূর করতে প্রতিদিন অন্তত একটি ডালিম ফলের রস খেতে পারেন।
পাতি লেবুর রস: কিডনির পাথর দূর করার উপায় হিসেবে পাতিলেবুর রস অনেক কার্যকরী। কারণ পাতি লেবুতে প্রচুর পরিমাণ সাইট্রিক এসিড থাকে। সাইট্রিক এসিড কিডনির ক্যালসিয়াম জাত পাথর তৈরিতে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং কিডনির পাথর দূর করার জন্য প্রতিদিন অন্তত একটি করে পাতি লেবুর রস দিনের যেকোনো সময় খেতে পারেন।
কালোজিরা: কিডনির পাথর দূর করার উপায় হিসেবে কালোজিরার বীজ অনেক কার্যকরী। কালোজিরার বীজ কিডনিতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর গঠনে উল্লেখযোগ্যভাবে বাধা প্রদান করে। প্রতিদিন ২৫০ এমএল গরম জলে হাফ চা চামচ শুকনো কালো জিরার বীজ দিন এবং দিনে দুইবার পান করুন।
মেথির বীজ: কিডনির পাথর দূর করার উপায় হিসেবে মিথির বীজ অনেক কার্যকরী। মেথির বীজ কিডনির জমাকৃত পাথর হ্রাস করে ও কিডনির পাথর প্রতিরোধ করে। ১ থেকে ২ চা চামচ মেথির বীজ রাত্রে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে এই ভেজানো বীজ হালকা তাপে ফুটিয়ে নিন। এই ফোটানো মেথির বীজের পানি ছেঁকে নিন এবং পান করুন।
পাথরকুচির পাতা: পাথরকুচির পাতা কিডনি এবং গলগন্ডের পাথর দূর করতে সাহায্য করে। দিনে দুইবার দুই থেকে তিনটি পাতার চিবিয়ে অথবা রস করে খেতে হবে।
আপেলের রস: আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড। হালকা গরম পানিতে ২ থেকে ৩ চা চামচ আপেলের রস মিশিয়ে খেলে কিডনির পাথর গলে যায়। এছাড়াও আপেলের রস শরীরের বিষাক্ত টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।
ভুট্টার গুড়া: পানির সঙ্গে ভুট্টার গুড়া ভালোভাবে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। প্রতিদিন এই মিশ্রণটি গ্রহণ করুন। ধীরে ধীরে চলে যাবে আপনার কিডনির পাথর এবং প্রসবের ইনফেকশন দূর করতেও এই মিশ্রণ অনেক কার্যকরী।
তবে এগুলো ব্যবহারের আগে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শেষ কথা
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়ম-কানুন ও শৃঙ্খলা মেনে চললে কিডনি সুস্থ রাখা সম্ভব।আজকের আর্টিকেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ-কিডনির পাথর দূর করার উপায়, কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।