চিরতরে খুশকি দূর করার উপায়-খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়

প্রিয় পাঠক আপনারা কি চিরতরে খুশকি দূর করতে চান। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আজকের আর্টিকেলে চিরতরে খুশকি দূর করার উপায়-খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়, খুশকি দূর করার শ্যাম্পু এবং খুশকি দূর করার জন্য কিছু সতর্কীকরণ পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনার খুশকি জনিত সকল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

চিরতরে খুশকি দূর করার উপায়-খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়

বর্তমান বায়ু দূষণ,ভেজাল খাদ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের কারণে খুশকির সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই খুশকির সমস্যা দূর করতে চাইলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল। কারণ আজকের আর্টিকেলে চিরতরে খুশকি দূর করার উপায়-খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায় অর্থাৎ খুশকি নিয়ে যাবতীয় সমস্যার সমাধান পাবেন।

ভূমিকা

খুশকি ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটা তেমন একটা ক্ষতিকর নয়। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সেবা অনুযায়ী খুশকি হচ্ছে মাথার ত্বকের সাদা রঙের আইস বা চামড়ার পরত ওঠা। মাথার চামড়ার সাথে এগুলো লেগে থাকে বা ঝুলে থাকে। ম্যালসেজিয়া গ্লোবসা নামে এক ধরনের ফাঙ্গাসই খুশকির জন্য দায়ী। এই ফাঙ্গাস মাথার ত্বকের এবং চুলের লেগে থাকা তেল খেয়ে বেঁচে থাকে।


অনেক মানুষই মনে করেন নোংরা থাকার কারণে খুশকি হয়। কিন্তু এই কথাটা মোটেও সত্য নয়। আবার নিয়মিত চুল পরিষ্কার না করলেও খুশকি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। খুশকির কারণে মাথা ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খুশকির কারণে দেখা যায় চুল উঠে যায় এবং চুলের ভঙ্গুরতা সৃষ্টি হয়।

চিরতরে খুশকি দূর করার উপায় (কিছু সতর্কীকরণ)

খুশকি দূর করার জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা অতি জরুরী। কিছু সতর্কতা আছে যেগুলো মেনে চললে খুশকি প্রতিরোধ করা সম্ভব। খুশকি দূর করার জন্য কিছু সতর্কতা তুলে ধরা হলো:
  • চুল সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে কারণ অপরিচ্ছন্ন চুলে খুশকি বেশি হয়।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
  • অন্যের বিছানা এবং চিরুনি ব্যবহার পরিহার করতে হবে।
  • খুশকির সময় মাথায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার পরিহার করতে হবে।
  • অতিরিক্ত মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করতে হবে, কারণ দুশ্চিন্তা থেকেও খুশকি হয়।
  • অনিয়মিত ঘুম খুশির অন্যতম কারণ। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমাতে হবে।
  • মাথার ত্বকে অতিরিক্ত ঘাম জমা হয়েও খুশকির সৃষ্টি হয়। মাথার ত্বক অতিরিক্ত ঘামলে দ্রুত শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
  • সপ্তাহে অন্তত একবার পানি দিয়ে ভালোভাবে চিরুনি পরিষ্কার করতে হবে।
  • এ সময় নরমাল শ্যাম্পু ব্যবহার না করে অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।
  • যাদের মাথার ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত তাদের প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিন দিন অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
  • নিয়মিত চুল আঁচড়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং খুশকি হবার সম্ভাবনা কমে যাবে।
  • ভেজা চুল দ্রুত শুকিয়ে ফেলতে হবে। চুল অনেকক্ষণ ভেজা থাকলে মাথার ত্বকে সংক্রমণ সৃষ্টি হয়ে খুশকি জন্ম হতে পারে।
  • বাইরে বের হবার সময় মাথা ঢেকে বের হতে হবে। কারণ ধুলাবালি এবং সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি, মাথার ত্বকে এসে পড়ে এতে করে খুশকি হবার প্রবণতা বেড়ে যায়।
  • যাদের মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক তাদের অধিক শ্যাম্পু করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ মাথার ত্বক অত্যাধিক শুষ্ক হলে খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • অস্বাস্থ্যকর ও দূষিত পানিতে গোসল করলে খুশকি হয়। এজন্য খুশকি দূর করতে অবশ্যই পরিষ্কার পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।
চিরতরে খুশকি দূর করার উপায় হিসেবে উপরোক্ত নিয়ম মেনে চলা অতি জরুরী।

খুশকি দূর করার শ্যাম্পু

ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সংস্থা NHS মতে খুশকি দূর করতে হলে খুশকি প্রতিরোধক শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে যে শ্যাম্পু গুলোতে রয়েছে:
  • জিঙ্ক পাইরিথিওন
  • সেলেনিয়াম সালফাইট
  • স্যালিসিলিক এসিড
  • কিটোকোনাজল কিংবা কোল টার
এই চারটি উপাদান যে শ্যাম্পু গুলোতে রয়েছে সেই শ্যাম্পু গুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।

তবে শ্যাম্পু কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তা জানতে অবশ্যই আপনার ফার্মাসিস্টের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কমপক্ষে এক মাস শ্যাম্পু টি ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে যে এটা আপনার কাজে আসে কিনা। চিকিৎসকরাহ অনেক সময় একাধিক শ্যাম্পু পরিবর্তন করে দেখে যে কোনটা আপনার জন্য উপযোগী।

অনেক সময় মাথার ত্বকের খুশকির মত মৃত চামড়ার পরত এবং সেই সাথে চুলকানি থাকলে সেটা খুশকি নাও হতে পারে। এটা হয়তো কোন রোগ যেমন: সোবিয়াসিস, ফাঙ্গাল ইনফেকশন কিংবা একজিমা, সেবোরিক ডার্মাটাইটিস রোগ হতে পারে। খুশকি রোধী শ্যাম্পু ব্যবহারের পরও যদি খুশকি না যায় তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু শ্যাম্পুর নাম উল্লেখ করা হলো যেমন:
  • Select Plus (সিলেক্ট প্লাস)
  • Ketoconazole (কিটোকোনাজল)
  • Ketozol (কিটোজল)
  • Odessy (ওডিসি)
  • Velkin (ভেলকিন)
  • Dancel (ড্যানসেল)
  • Keto-S (কিটো-এস)
চিকিৎসকরাহ রোগীদের মাথার ত্বকের ধরন অনুযায়ী এ শ্যাম্পু গুলো নির্ধারণ করে থাকেন।

চিরতরে খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ঘরোয়া উপায়েও চিরতরে খুশকি দূর করা যায়। আয়ুর্বেদের টোটকায় খুশকির সমস্যা দূর হয় এবং চুল হয় সুন্দর, ঘন ও মসৃণ। খুশকি দূর করতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা ভালো।কারণ এতে কোন রাসায়নিক উপাদান থাকে না, যার ফলে মাথার ত্বকের কোন ক্ষতি হয় না। চিরতরে খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায় নিম্নে বর্ণিত হল:

পেঁয়াজের রস: চিরতরে চুলের খুশকি দূর করার জন্য পেঁয়াজের রস অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। এছাড়াও পেঁয়াজের রস চুল পড়া কমাতে এবং নতুন চুল গজাতে খুব ভালো কাজ করে। পেঁয়াজের রসে রয়েছে উচ্চমাত্রায় সালফার। পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।

এছাড়াও এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মাথার ত্বকের খুশকি মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রসের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিন এবং তুলোর সাহায্যে চুলের গোড়ায় লাগান। এরপর ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।পরবর্তীতে যে কোন শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

মেথি:চিরতরে খুশকি দূর করার উপায় হিসেবে মেথি খুব কার্যকরী একটি উপাদান। এছাড়াও মেথি চুল পড়া কমাতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ মেথি সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে এই মেথি ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন অথবা মেথির গুড়াও ব্যবহার করতে পারেন।

মেথির গুড়া সাথে পেঁয়াজের রস,লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এবার ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট বা তার অধিক সময় অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিন।প্রথমবার ব্যবহারেই এর উপকারিতা অনেকটা বুঝতে পারবেন।

চুলের খুশকি দূর করতে এই মিশ্রণটি প্রমাণিত। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। তাহলে আপনার নতুন চুল গজাবে, চুল পড়া বন্ধ হবে, খুশকি দূর হবে এবং চুল হবে ঝলমলে ও কোমল।

অ্যালোভেরা: চিরতরে খুশকি দূর করার উপায় হিসেবে অ্যালোভেরার জেল দারুন কার্যকরী। তাজা অ্যালোভেরার জেল, আমলকির রস, লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।এরপর চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিন এবং ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

পরবর্তীতে অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু বা যেকোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি প্রতি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে খুশকি চিরতরে দূর হবে। এছাড়াও এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে চুল কালো হবে,চুল পড়া বন্ধ হবে, নতুন চুল গজাবে এবং চুল হবে ঝলমলে ও মসৃণ।

আমলকি: চুলের যত্নে অতি প্রাচীনকাল থেকে আমলকি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কারণ আমলকি চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চুলের খুশকি দূর করতে কাঁচা আমলকি রস অথবা শুকনো আমলকি পানিতে ভিজিয়ে রেখে চুলে ব্যবহার করতে পারেন।

আমলকির রসের সঙ্গে কিছু পরিমাণ পেঁয়াজের রস এবং লেবুর রস আবার মেথির গুঁড়াও মিশিয়ে নিতে পারেন। তাহলে খুশকি দূর করতে অধিক কার্যকরী হবে। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে লাগিয়ে নিন।২০ থেকে ৩০ মিনিট অথবা অধিক উপকারের জন্য শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

পরবর্তীতে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার এই প্যাকটি ব্যবহার করলে অধিক ফল পাওয়া যাবে। এই প্যাকটি চিরতরে খুশকি দূর করার উপায় হিসেবে অধিক কার্যকরী।

নিমপাতা: চিরতরে খুশকি দূর করতে চাইলে নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিফঙ্গাল উপাদান রয়েছে যা মাথার ত্বকের সংক্রমণ বা খুশকির সমস্যা থাকলে তা দূর হবে এবং চুলের গোড়া শক্ত হবে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। নিম পাতা বেটে চুলের গোড়াতে লাগাতে পারেন।

এছাড়াও কয়েক মুঠো নিমপাতা নিয়ে এক লিটার পানিতে ফুটিয়ে নিন।এবার মিশ্রনটি ঠান্ডা হলে শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতি সপ্তাহে যদি এক থেকে দুই দিন করতে পারেন তাহলে চুলের যত সমস্যা আছে সব দূর হবে।

টকদই: চিরতরে খুশকি দূর করার উপায় হিসেবে টক দই অধিক কার্যকরী। ৫ থেকে ৬ টেবিল চামচ টকদইয়ের সাথে মেহেদি পাতা বাটা অথবা মেথির গুড়া ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিন।

এরপর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অথবা শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। এতে চুল হবে ঘন,খুশকি মুক্ত এবং ঝলমলে ও কোমল।

জবা ফুল: মাথার খুশকি দূর করতে জবা ফুল ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেলের সঙ্গে হালকা তাপে ভালোভাবে জবা ফুল ফুটিয়ে নিন। এবার এই তেল চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ব্যবহার করুন। এই তেল ব্যবহারে খুশকি সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যাবে এবং চুল ঘন হয়ে উঠবে।

ভৃঙ্গরাজ: অতি প্রাচীনকাল থেকেই চুলের যত্নে ভৃঙ্গরাজ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটা মাথার ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ভৃঙ্গরাজের তেল বানিয়ে ব্যবহার করলে খুশকি সমস্যা দূর হয়ে যায়।

অলিভ অয়েল: চিরতরে খুশকি দূর করার উপায় হচ্ছে অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েল খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুল পড়া কমায়,চুল ঘন করে এবং চুল হয় কোমল ও মসৃণ। অলিভ অয়েল হালকা গরম করে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে মাসাজ করে লাগিয়ে নিন।

এরপর ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করুন অথবা লাগিয়েও রাখতে পারেন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন চুলে অলিভ অয়েল লাগানোর অভ্যাস করুন। তাহলে চুলের সব সমস্যা দূর হবে।

শেষ কথা: চিরতরে খুশকি দূর করার উপায়

পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে পর্যাপ্ত পরিমাণ সুষম খাবার,নিয়মিত ব্যায়াম,শরীরচর্চা এবং প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা পর্যাপ্ত ঘুম, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, মানসিক দুশ্চিন্তা পরিহার করলে খুশকি অনেকটা দূর করা সম্ভব।আজকের আর্টিকেলে চিরতরে খুশকি দূর করার উপায়-খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়, খুশকি দূর করার শ্যাম্পু এবং খুশকি দূর করার জন্য কিছু সতর্কীকরণ পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url