হার্টের রোগীর খাবার তালিকা-হার্টের জন্য উপকারী খাবার
প্রিয় পাঠক আপনারা কি হার্ট ভালো রাখতে চান। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আজকের আর্টিকেলে হার্টের রোগীর খাবার তালিকা-হার্টের জন্য উপকারী খাবার, হার্টের রোগীদের হার্ট ভালো রাখতে যে সকল খাদ্য বর্জন করা উচিত এবং হার্ট ভালো রাখার কিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন হার্টের রোগীর খাবার তালিকা-হার্টের জন্য উপকারী খাবার, হার্ট ভালো রাখতে কিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল।
ভূমিকা
হৃদযন্ত্রের নিজস্ব রক্তনালীতে চর্বি জমে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে,যা হৃদ রোগ বা হার্টের রোগ হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে বিভিন্ন বয়সের মানুষকে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। বর্তমানে এই হৃদরোগ বা হার্টের রোগের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়।
সেগুলো হলো: বায়ু দূষণ,ধূমপান,ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরল, পারিবারিক ইতিহাস, স্বল্প শারীরিক পরিশ্রম, স্থুলতা প্রভৃতি। তবে হার্টের রোগীরা যদি স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন, নিয়মিত শরীর চর্চা ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলেন তাহলে হার্টের রোগ নিয়েও দীর্ঘ সময় স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব।
হার্টের রোগীর খাবার তালিকা-হার্টের জন্য উপকারী খাবার
হার্টের রোগীদের খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক হওয়া উচিত। কারন এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো হার্ট কে ভালো রাখে আবার কিছু খাবার আছে যেগুলো হাটের জন্য ক্ষতিকর। হার্টের রোগীরা হার্ট কে ভালো রাখার জন্য খাবার তালিকাতে কি ধরনের খাদ্য রাখা উচিত নিম্নেতা বর্ণিত হল:
ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার
হার্টের রোগীর খাবার তালিকা তে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার অবশ্যই রাখতে হবে। যাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকে তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটা বেশি থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ভিটামিন ডি এর অভাবে হার্ট অ্যাটাক বেশি হতে দেখা গেছে। ভিটামিন ডি হার্টের ব্লাড সার্কুলার বাড়িয়ে দেয়
আরো পড়ুন: হার্টের ব্লক দূর করার খাবার
ভিটামিন ডি যদি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকে তাহলে হার্টও অনেক ভালো থাকে। চিকিৎসকের মতে প্রতিদিন যদি ২০ থেকে ৩০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকা যায় তাহলে শরীরের ৮০ ভাগ ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ হয়। বাকি ২০ ভাগ ভিটামিন ডি পাওয়া যায় খাদ্য থেকে।
ভিটামিন সি যুক্ত ফল
ভিটামিন সি যুক্ত ফল যেমন: লেবু,আমলকি,পেয়ারা, কমলা,জাম্বুরা,মাল্টা,আনারস প্রভৃতি। এসব ফলে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি,অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল। এই সব পুষ্টি উপাদান হার্টের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।
এছাড়াও রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। মানুষের শরীরে দৈনিক ভিটামিন সি এর চাহিদা ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি নয়। তাই দৈনিক ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার
সামুদ্রিক মাছের প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বীজে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যেমন: চিয়া বীজ,তিসি বীজ,কুমড়া বীজ প্রভৃতি। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল LDL কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ট্রাইগ্লিসারাইডকে কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে,ফলে হার্টের সুস্থতা বজায় থাকে।
বেরি জাতীয় ফল
হার্টের রোগীর খাবার তালিকায় বেরিয়ে জাতীয় ফল অবশ্যই রাখা উচিত। বেরি জাতীয় ফল যেমন: স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি,ব্লুবেরি প্রভৃতি। এইসব ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে।
এই সব পুষ্টি উপাদান হার্ট ভালো রাখার পাশাপাশি শরীরের নানা রকম সমস্যা দূর করে। এছাড়াও এই ধরনের ফলে অ্যান্তোসায়নিক নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে যা হার্টের প্রদাহ জনিত সমস্যা প্রশমিত করে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বহুগুণ কমে।
ওয়ালনাট
হার্ট এর জন্য উপকারী খাবার হিসেবে ধরা হয় ওয়ালনাট। ওয়ালনাটে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড,ম্যাগনেসিয়াম,কপার,ম্যাঙ্গানিজ এবং প্রয়োজনীয় কিছু খনিজ উপাদান রয়েছে। এই সব পুষ্টি উপাদান ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। সুতরাং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ টি করে এই বাদাম খেতে পারেন।
আমন্ড
আমন্ড মূলত একটি বাদাম হিসেবে পরিচিত। আমন্ডে প্রচুর পরিমাণ মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও এই বাদাম শরীরের অলেক এসিডের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে পাশাপাশি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমায়। পানিতে ভিজিয়ে ৬ থেকে ৭ টি আমন্ড প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে হার্টের স্বাস্থ্য অনেক ভালো থাকবে।
ওটমিল
ওটমিল বেশ স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। হার্টের রোগীর খাবার তালিকা গুলোতে ওটমিল রাখতে পারেন।কারণ এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ওটমিলে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।যার ফলে হৃৎপিণ্ড শক্তিশালী হয় এবং হৃদ রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায় এবং রক্ত প্রবাহ মসৃণ করতে সাহায্য করে।
আপেল
হার্টের জন্য আপেল অনেক উপকারী একটি ফল। হার্টের রোগীর খাবার তালিকা গুলোতে প্রতিদিন অন্তত ১ টি করে আপেল রাখা উচিত। আপেলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। এছাড়াও আপেল রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
ডালিম
হার্টের রোগীর খাবার তালিকা গুলোতে অবশ্যই ডালিম রাখা উচিত। ডালিম রক্তের LDL এর মাত্রা কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।এছাড়াও হার্টের ব্লক খুলতে ডালিম অত্যন্ত কার্যকরী।
পেয়ারা
পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অন্যান্য ফলের তুলনায় পেয়ারাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি রয়েছে। এছাড়াও পেয়ারাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি,ভিটামিন বি৬, ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম প্রভৃতি। এইসব পুষ্টি উপাদান হৃদ রোগ প্রতিহত করে। তাই প্রতি সপ্তাহে অন্তত ২ টি করে পেয়ারা খাওয়ার চেষ্টা করুন।
পেঁপে
পেঁপে একটি সুস্বাদু ও উপকারী ফল। পেঁপেতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেমন: প্রোটিন,মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট,খাদ্য শক্তি,ভিটামিন সি,ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি ৬,ভিটামিন বি,সোডিয়াম,পটাশিয়াম, আইরন,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,বিটা ক্যারোটিন প্রভৃতি।হার্টের অসুস্থতা কমাতে পেঁপে একটি দারুন খাবার। হার্টের রোগীদের জন্য সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন এই ফল খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করা উচিত। সুতরাং পেঁপে হার্টের জন্য উপকারী খাবার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
কলা
কলা নানা পুষ্টি উপাদানের ভরপুর যেমন: পটাশিয়াম, ক্যালরি,ক্যালসিয়াম,আয়রন,ভিটামিন সি,ভিটামিন বি ৬, ফাইবার,ফসফরাস,প্রোটিন,খনিজ লবণ,শর্করা প্রভৃতি। কলাতে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও কলাতে থাকা ফাইবার শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল বের করে দিতে সাহায্য করে। সুতরাং হার্টের রোগীর খাবার তালিকা গুলোতে সপ্তাহে অন্তত ৪ থেকে ৫ টি কলা রাখা উচিত।
ছোলা
ছোলা হার্টের জন্য উপকারী খাবার। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও পটাশিয়াম রয়েছে, যা হৃদ রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ছোলা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমান ছোলা খাওয়া উচিত।
তবে ছোলা কে অধিক সেদ্ধ,ভুনা অথবা ভেজে খেলে এর কোন উপকার পাওয়া যাবে না। অবশ্যই কাঁচা ছোলা খেতে হবে যা হার্টের জন্য অনেক উপকার। রাত্রে ছোলা ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে সেই ছোলা আদা কুচির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
আদা
আদা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। আদা খেলে হার্টের রক্ত জমাট বাঁধে না ফলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে এবং সারা শরীরে রক্ত চলাচল সচল থাকে।
গাঢ় সবুজ রঙের শাক
গারো সবুজ রঙের শাকে ভিটামিন ই,বিটা ক্যারোটিন এবং ফাইবার থাকে। এগুলো রক্তনালি ড্যামেজ করতে বাধা প্রদান করে।এছাড়াও রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
কমলা ও হলুদ রঙের সবজি
কমলা ও হলুদ রঙের সবজি গুলোতে প্রচুর পরিমাণ ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এইসব পুষ্টি উপাদান হার্টের রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না এবং হার্টের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে।
ডুমুর
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ডুমুরের উপকারিতা অপরিসীম। চিকিৎসকরাহ হার্ট ভালো রাখার জন্য ডুমুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ ডুমুর নানা পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। তাই হার্টের রোগীর খাবার তালিকা তে ডুমুর রাখতে পারেন।
কাঁচা রসুন
কাঁচা রসুন হার্টের জন্য খুব ভালো একটি খাবার। এটা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল বা LDL কে কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও কাঁচা রসুন শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ দূর করে। কাঁচা রসুন খেলে রক্তনালিতে চর্বি বা খারাপ কোলেস্টেরল জমবে না যার ফলে আপনার হার্ট ব্লক বা হার্ট অ্যাটাকের মত সমস্যা হবে না। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ২ কোয়া করে কাঁচা রসুন খেতে পারেন।
হলুদ
হলুদ কে বলা হয় প্রাকৃতিক প্রতিরোধক উপাদান। হলুদে প্রচুর পরিমাণ কারকিউমিন থাকে। আর এই কারকিউমিন রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং হার্ট কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা অত্যন্ত উপকারী হার্টের রোগীর জন্য। এছাড়াও গ্রিন টি,লেবুর শরবত,ফলের জুস,ডাবের পানি,দুধ অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করা উচিত হার্টের রোগীর জন্য।
হার্টের রোগীরা উপরোক্ত খাবারগুলোর মধ্য থেকে অন্তত এক থেকে দুইটি যেকোনো খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও হার্টের রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার নির্বাচন করা জরুরি।
হার্টের রোগীর খাবার তালিকা (বর্জনীয় খাবার)
কিছু খাদ্য আছে যেগুলো হার্টের রোগীর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর এইসব খাদ্য খেলে দেখা যায় হার্টের রোগীদের হার্টের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই যে সকল খাদ্য বর্জন করতে হবে নিম্নে তা বর্ণিত হল:
- যেকোনো ধরনের চিনি জাতীয় খাবার হার্টের রোগীর খাবার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত। চিনি জাতীয় খাবার রক্তে ক্ষতিকর ফ্যাট নিঃসরণ করে।এ কারণে দেখা যায় হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়।
- ফাস্টফুড, জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ও মসলা জাতীয় খাবার পরিহার করা উচিত। কারণ এইসব খাবার হার্টের রোগীদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
- ঘি,মাখন,ডালডা এবং পরিশোধিত তেল পরিহার করতে হবে। কারণ এইসব খাবারের উচ্চমাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে যা হার্টের রোগীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
- মাছের মাথা ও মাছের ডিম, চিংড়ি মাছ, কলিজা,মগজ এবং হাড়ের মজ্জা এ ধরনের খাবার হার্টের রোগীর খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। কারণ এইসব খাবার উচ্চ কোলেস্টেরল যুক্ত। উচ্চ কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাক,হার্ট ব্লক সহ হার্টের নানান সমস্যা সৃষ্টি করে।
- লাল মাংস,ডিমের কুসুম, নারিকেল, এবং অধিক চর্বিযুক্ত খাবার, কাঁচা লবণ হার্টের রোগীর খাবার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া অতি জরুরী। কারণ এই খাবারগুলো হার্টের জন্য সব সময় সমস্যাই সৃষ্টি করে।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল হার্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই হার্টের রোগীদের অবশ্যই ধূমপান ও যেকোনো নেশা জাতীয় দ্রব্য বাদ দিতে হবে।
হার্টের রোগীদের হার্ট ভালো রাখতে করণীয়
হার্টের রোগীদের হার্ট ভালো রাখতে কিছু নিয়মকানুন ও সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলতে হবে তাহলে হার্ট ভালো রাখা সম্ভব। হার্টের রোগীদের হার্ট ভালো রাখার জন্য কিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করা হলো:
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
- ইনফ্লামেশন দূর করতে হবে।
- শ্বাসের ব্যায়াম করতে হবে।
- ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
- রক্তে HDL এর মাত্রা বাড়াতে হবে।
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা পরিহার করতে হবে।
- প্রচুর পরিমাণ শাক-সবজি খেতে হবে।
- ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
- হার্টের রোগীদের অবশ্যই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
- ম্যাগনেসিয়াম ও বেকিং সোডা জাতীয় খাবার মাঝে মাঝে গ্রহণ করতে হবে।
- হার্টের রোগীদের অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা পরিমাণ ঘুমাতে পারলে হার্ট ভালো থাকে।
- হার্টের রোগীদের প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। তবে অধিক পরিশ্রমিক ব্যায়াম করা যাবে না।
- হার্টের রোগীদের সবসময় পরিমিত খাবার গ্রহণ করা উচিত। কারণ অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ হার্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
- হার্টের জন্য উপকারী খাবার হিসেবে ধরা হয় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার। হার্টের রোগীদের সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত।
শেষ কথা:হার্টের রোগীর খাবার তালিকা
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে হার্টের রোগীরা যদি স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন,নিয়মিত শরীর চর্চা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলেন,তাহলে হার্টের রোগ নিয়েও দীর্ঘ সময় স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব। আজকের আর্টিকেলে হার্টের রোগীর খাবার তালিকা-হার্টের জন্য উপকারী খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।