মোবাইল চুরি হয়ে গেলে অনলাইনে জিডি করার নিয়ম
মোবাইল চুরি হয়ে গেলে অনলাইনে জিডি করার নিয়ম সম্পর্কে এখনো অনেকে সঠিক তথ্য জানেন না। আজকের আর্টিকেলে আপনাদেরকে মোবাইল চুরি হয়ে গেলে অনলাইনে জিডি করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।
আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল। কারণ আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন মোবাইল চুরি হয়ে গেলে অনলাইনে জিডি করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
ভূমিকা
মোবাইল চুরি হওয়া বা মোবাইল হারিয়ে যাওয়া খুব কমন একটি সমস্যা।মোবাইল চুরি হয়ে গেলে এখন আমরা খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে থানায় জিডি করতে পারি। এই অনলাইন জিডি ব্যবস্থা চালু হওয়ায় এখন আমাদের অযথা সময় অপচয় ও থানায় হয়রানি হতে হয় না। আর এই অনলাইনে জিডি করার মাধ্যমে আমরা আমাদের হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া মোবাইল সহজেই ফিরে পেতে পারি।
আরো পড়ুনঃ রেডমি মোবাইলের দাম ২০২৩ বাংলাদেশ
মোবাইলের মাধ্যমে ভালো খারাপ সকল কাজ করা যায়। এছাড়াও মোবাইলে ব্যক্তিগত তথ্য থাকে। আপনার চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইল দ্বারা যাতে কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করতে না পারে এবং আপনাকে যাতে কোন সমস্যার মধ্যে না পড়তে হয়। সেজন্য মোবাইল চুরি হয়ে গেলে অবশ্যই থানায় জিডি করা জরুরী।
জিডি কি?
জিডি কি, সে সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত তথ্য আগে জানতে হবে।জিডি শব্দটির পূর্ণরূপ হচ্ছে জেনারেল ডায়েরি।জিডি হল সাধারণত একটি ডায়েরি (জেনারেল ডায়েরি) বা কোন বিষয়ে সাধারণ বিবরণ। যেকোনো আইনি সহায়তা নিতে জিডির প্রয়োজন হয়। সুতরাং জিডির ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ। প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো ব্যক্তি থানায় এই জিডি করতে পারবেন।অন্যদিকে এজাহার হচ্ছে মামলা করার প্রথম পদক্ষেপ।
অনলাইনে জিডি করতে কি কি লাগে?
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর
- আপনার লাইভ ছবি
- আপনার সচল মোবাইল
- আপনার একটি ইমেইল নাম্বার
মোবাইল চুরি হয়ে গেলে অনলাইনে জিডি করার নিয়ম
মোবাইল চুরি হয়ে গেলে অনলাইনে জিডি করার নিয়ম সম্পর্কে আপনাকে সঠিক তথ্য জানতে হবে। এজন্য প্রথমে প্লেস্টোর থেকে ONLINE GD অ্যাপস নামক সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হবে। এরপর অনলাইন জিডি নামে একটি পেজ আসবে এবং সেখানে নিবন্ধন ও লগইন লেখা থাকবে নতুন হলে নিবন্ধন করবেন।
নিবন্ধনের মধ্যে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে। এরপর পরিচয়টা যাচাই হবে তখন দেখবেন পরিচয় পত্রের নাম্বার,জন্ম তারিখ,নিজের নাম,পিতার নাম,মাতার নাম ঠিক আছে কিনা। নিজের পরিচয়টা যাচাই হয়ে গেলে এন্ট্রি করতে হবে।
এরপর নিজের মোবাইল নাম্বার ও মনে রাখার সুবিধা মত পাসওয়ার্ড দিয়ে এবং অন্যান্য নির্দেশনা অনুসরণ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।এরপর নির্ধারিত ছকের তথ্যসমূহ পূরণ করে অনলাইন জিডির তথ্যাদি এন্ট্রি করতে হবে।
নিবন্ধন অপশনে গেলে মিলবে আরো চারটি অপশন। সেখানে আছে জাতীয় পরিচয় পত্র,জন্ম নিবন্ধন,পাসপোর্ট এবং বিদেশি পাসপোর্ট।তবে আপাতত জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্যের ভিত্তিতে নিবন্ধন করা যাচ্ছে।
জাতীয় পরিচয় পত্রের অপশনে গিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার,জন্ম তারিখ ও পরিচয় পত্র যাচাই করে ব্যবহারকারীর জেলা,থানা,ইউনিয়ন,গ্রাম,পোস্ট কোড ও ঘটনার বিবরণ সংক্রান্ত তথ্য বিবরণী দিতে হবে।
অনলাইনে জিডি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ব্যবহারকারী পাবেন একটি সার্ভিস কোড। অল্প সময়ের মধ্যেই অ্যাপস এর মাধ্যমে অনলাইনে কিউ-আর কোড সম্বলিত জিডির কপি সংগ্রহ ও মুদ্রণ করা সম্ভব হবে।
এই জিডির তিনটি ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পরে যখন আপনি জিডি সাবমিট করে দিবেন। এরপর জিডি যে সাবমিট হয়েছে প্রত্যেকটা আপডেট বিষয়ে আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে এবং আপনার এই অ্যাপস এর নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানানো হবে।
তবে আরেকটি কথা সফটওয়্যার ছাড়াও অনলাইনে জিডি করা যাবে। যেমন:GD.POLICE.GOV.BD এর মাধ্যমে। বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে আপনার নিকটস্থ থানায় অনলাইন এর মাধ্যমে জিডি করতে পারবেন। তবে আরেকটি বিষয় জানা অতি জরুরি বাংলাদেশের বাইরে থেকে অনলাইন জিডি করা যাবে না।
শেষ কথা
পরিশেষে আমরা বলতে পারি মোবাইল হচ্ছে যোগাযোগ করার জন্য বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। যদি আমাদের মোবাইল হারিয়ে যায় তাহলে অবশ্যই থানায় জিডি করা জরুরি। মোবাইল হারিয়ে গেলে হতাশ হওয়া যাবে না বরং দ্রুত আইনের শরণাপন্ন হতে হবে।মোবাইল চুরি হয়ে গেলে অনলাইনে জিডি করার নিয়ম এই পোস্ট আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে এবং কাজে আসবে।