বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) এর চল্লিশ হাদিস
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) এর চল্লিশ হাদিস অতি গুরুত্বপূর্ণ। এই হাদিসটি সর্বপ্রথম সংগ্রহ ও সংকলন করেন প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম ইবনে শিহাব আল জুহুরী। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এরশাদ করেন যে আমার উম্মতের স্বার্থে তাদের দ্বীনি বিষয়ে চল্লিশটি হাদিস মুখস্ত করবে আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিবসে ওলামায়ে কেরামের আসরে পুনরুথিত করবেন।
তিনি আরো বলেন, যে আমার বাণী শ্রবণ করে অনুরূপভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় আল্লাহ তাকে উজ্জ্বলতা দান করবেন। আবু দারদার অপর বর্ণনায় রয়েছে কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য সুপারিশকারী ও সাক্ষ্যদাতা হব।
মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত সর্বপ্রথম বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) এর চল্লিশ হাদিস জেনে নেওয়া। এবং নিজের জীবনে এগুলোর বাস্তবায়ন করা এবং অন্য মুসলিম ভাইদের জানানো।
আরো পড়ুনঃ রবিউল আউয়াল মাসের ইবাদতের বিবরণ।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) এর চল্লিশ হাদিস জেনে নেওয়া যাক
২। মহানবী ( সাঃ) বলেন, আউয়াল ওয়াক্তে অর্থাৎ প্রথম ওয়াক্তে নামাজ পড়লে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন। (আল হাদীস )
৩। মহানবী ( সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামায নিয়মিতভাবে আদায় করে আল্লাহ তাকে পাঁচটি নিয়ামত প্রদান করিবেন। (ক) মউতের কষ্ট হতে রেহায় দিবেন
(খ)কবর আযাব লাঘব করবেন। (গ ) ডানহাতে আমল নামা প্রদান করবেন
( ঘ)বিজলীর ন্যায় পুলছিরাত পার করাইবেন। ( ঙ) বিনা হিসাবে বেহেশতে প্রবেশ করাইবেন।
৪। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন,মেছওয়াক করে নামায পড়া বিনা মেছওয়াকের নামায পড়া হতে সত্তর গুন ছওয়াব বেশী। ( বায়হাকী )
৫ । বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন,যে ব্যক্তি প্রথম কাউকে সালাম করে আল্লাহর দরবারে মানুষের মধ্যে সে ব্যক্তি উত্তম। (আবু দাউদ তিরমিজি )
৬। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন,যখন গৃহে প্রবেশ কর তখন গৃহবাসীদেরকে সালাম করো। আবার যখন গৃহ থেকে বের হয়ে যাও তখনও তাদেরকে সালাম করে বের হয়ে যাও। ( বায়হাকী )
৭। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন,যে ব্যক্তি হিংসা করে,যে ব্যক্তি গণক সাজিয়া মানুষকে গায়েবের কথা বলে এবং যে ব্যক্তি চোঘল খুরী করে তারা আমার উম্মত নয় আমিও তাদের কেও না। ( তিবরানী )
৮। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যার সামনে আমার নাম উচ্চারন করা হয় সে যদি তা শুনে আার প্রতি দরুদ শরীফ পাঠ না করে তবে সে যেনো জান্নাতের পথ ভুলে গেলাে। ( তিবরানী )
৯। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, আল্লাহর কছম আমি নিশ্চই আল্লাহ পাকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকি এবং আমি সত্তর বারের অধিক আল্লাহর নিকট তওবা করে থাকি।
১০। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, হে আলী তোমার প্রতি পালক ব্যতিত কারও কাছে কিছু আশা করো না এবং তোমার পাপ ব্যতিত অন্য কোন বিষয় ভয় করো না। ( ছগির )
১১। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যদি কেও বিনা অনুমতিতে তোমার গৃহে প্রবেশ করে তুমি যদি তার উপর কংকর মেরে তার চোখ অন্ধ করে দাও তাতে তোমার কোন গুনাহ হবে নাহ। ( মুসলিম )
১২। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, প্রকৃত মুসলমান ঐ ব্যক্তি যার জবান এবং হাতের অনিষ্ট হতে অন্য মুসলমান নিরাপদে থাকে।
১৩। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি অন্য মুসলমানের দোষ ত্রটি গোপন রাখবে আল্লাহ পাক কিয়ামতের দিন তার দোষ ত্রূটি গোপন রাখবেন।
১৪। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি উত্তম যে নিজে কোরআন শরীফ শিক্ষা করেছেন এবং অপর কে শিক্ষা দিয়েছেন। ( বুখারী, মুসলিম )
১৫। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, কবিরাহ গুনাহর মধ্যে সবচেয়ে বড় গুনাহ শিরক করা। ( বুখারী, মুসলিম )
১৬। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, গরীব দুঃখীকে দান খয়রাত করলে একটি পূর্ণ আর আত্নীয় সজনকে দান করলে দুইটি পূর্ণ। ( ইবনে মাজাহ নাসায়ী )
১৭। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, ইয়াতিমের মাল আত্নসাত করলে ধ্বংস ডেকে আনে।( বুখারী, মুসলিম )
১৮। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, মাথর সাথে দেহের যেমন সম্পর্ক ঈমানের সাথে ধৈরযের তেমন সম্পর্ক।
১৯। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, কারো অন্তরে সরিষা পরিমান অহংকার থাকলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবেনা।( মুসলিম )
২০। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, আগুন যেমন কাঠকে পুড়িয়ে দেয় মিথ্যা তেমন নেক আমল সমূহকে নষ্ট করে দেয়।
২১। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যখন কোন মানুষের মধ্যে থেকে লজ্যা চলে যায় তখন সে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। ( বুখারী )
২২। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যাবতীয় গুনের মধ্যে লজ্জা হল উৎকৃষ্ট গুণ, আর এই গুণের দ্বারা মানুষ সফলতা অর্জন করে। ( বুখারী )
২৩। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, তোমাদের মধ্যে সর্ব উত্তম ঐ ব্যক্তি যে সর্বদায় আল্লাহর যিকির করে। ( বয়হাকী )
২৪। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, রোগীর সেবা যত্নকারী নিজ ঘরে ফিরে না আসা পযর্ন্ত জান্নাতের পথ চলতে থাকে। ( মুসলিম )
২৫। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে সৎ চরিত্র অধিকারি।
২৬। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি আমার নিকট সব চেয়ে উত্তম যার চরিত্র সুন্দর।
২৭। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি সর্বদা সত্য কথা বলে আল্লাহর দরবারে তাকে সিদ্দীক বলে অভিহিত করা হয়।
২৮। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যখন কোন ব্যক্তিকে আল্লাহ ধ্বংস করতে চাই তখন আল্লাহ তার থেকে লজ্যা কেড়ে নেই।
২৯। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, অত্যাচারী বাদসাকে সব চাইতে কঠিন ও ভীষণ আযব ভোগ করতে হবে। ( তিরমিজি )
৩০। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, কোন মুসলমানকে অভিশাপ দেওয়া তাকে হত্যার সমতুল্য। ( বুখারী, মুসলিম )
৩১। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন,ন্যায় বিচারক ও শাসন কর্তা কিয়ামতে দিন আল্লাহর আরশের ছায়ার নিচে অবস্থান করবে। ( বুখারী )
৩২। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, সুদ যদিও সম্পদ বৃদ্ধি করে কিন্তু এর পরিনাম শেষ ভাগ কমের দিকে নিয়ে যায়। ( ইবনে মাজাহ )
৩৩। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোন মুমীন ব্যক্তির ক্ষতি করে বা ধোকা দেয় সে অভিশপ্ত। ( তিরমিজি )
৩৪। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, কোরআন শরীফ তেলাওয়াতের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারে। ( তিরমিজি )
৩৫। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, দুনিয়া মুমিন লোকের জন্য হাজত খানা আর কাফের দের জন্য জান্নাত। (মুসলিম )
৩৬। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে কেহ বাম হাত দিয়ে আহার ও পান করবেনা,কারন শয়তান শুধু বাম হাত দিয়ে আহার ও পান করে। (মুসলিম )
৩৭। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, আল্লাহ সেই বান্দার উপর সনতুষ্ট হন , যে আহার ওপান করার পর আল্লাহর প্রশংসা করে। ( মুসলিম )
৩৮। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, নামাজের মধ্যে কাতার সমুহ সোজা করিও , নতুবা আল্লাহ পাক তোমাদের অন্তরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে দেবেন। ( মুসলিম )
৩৯। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আমার কবর যিয়ারত করলো তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়জিব হয়ে গেল। ( দারকুতান )
৪০। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ শরীফ পাঠ করে আল্লাহ পাক তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন। ( বুখারী )
৩। মহানবী ( সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামায নিয়মিতভাবে আদায় করে আল্লাহ তাকে পাঁচটি নিয়ামত প্রদান করিবেন। (ক) মউতের কষ্ট হতে রেহায় দিবেন
(খ)কবর আযাব লাঘব করবেন। (গ ) ডানহাতে আমল নামা প্রদান করবেন
( ঘ)বিজলীর ন্যায় পুলছিরাত পার করাইবেন। ( ঙ) বিনা হিসাবে বেহেশতে প্রবেশ করাইবেন।
৪। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন,মেছওয়াক করে নামায পড়া বিনা মেছওয়াকের নামায পড়া হতে সত্তর গুন ছওয়াব বেশী। ( বায়হাকী )
৫ । বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন,যে ব্যক্তি প্রথম কাউকে সালাম করে আল্লাহর দরবারে মানুষের মধ্যে সে ব্যক্তি উত্তম। (আবু দাউদ তিরমিজি )
৬। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন,যখন গৃহে প্রবেশ কর তখন গৃহবাসীদেরকে সালাম করো। আবার যখন গৃহ থেকে বের হয়ে যাও তখনও তাদেরকে সালাম করে বের হয়ে যাও। ( বায়হাকী )
৭। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন,যে ব্যক্তি হিংসা করে,যে ব্যক্তি গণক সাজিয়া মানুষকে গায়েবের কথা বলে এবং যে ব্যক্তি চোঘল খুরী করে তারা আমার উম্মত নয় আমিও তাদের কেও না। ( তিবরানী )
৮। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যার সামনে আমার নাম উচ্চারন করা হয় সে যদি তা শুনে আার প্রতি দরুদ শরীফ পাঠ না করে তবে সে যেনো জান্নাতের পথ ভুলে গেলাে। ( তিবরানী )
৯। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, আল্লাহর কছম আমি নিশ্চই আল্লাহ পাকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকি এবং আমি সত্তর বারের অধিক আল্লাহর নিকট তওবা করে থাকি।
১০। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, হে আলী তোমার প্রতি পালক ব্যতিত কারও কাছে কিছু আশা করো না এবং তোমার পাপ ব্যতিত অন্য কোন বিষয় ভয় করো না। ( ছগির )
১১। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যদি কেও বিনা অনুমতিতে তোমার গৃহে প্রবেশ করে তুমি যদি তার উপর কংকর মেরে তার চোখ অন্ধ করে দাও তাতে তোমার কোন গুনাহ হবে নাহ। ( মুসলিম )
১২। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, প্রকৃত মুসলমান ঐ ব্যক্তি যার জবান এবং হাতের অনিষ্ট হতে অন্য মুসলমান নিরাপদে থাকে।
১৩। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি অন্য মুসলমানের দোষ ত্রটি গোপন রাখবে আল্লাহ পাক কিয়ামতের দিন তার দোষ ত্রূটি গোপন রাখবেন।
১৪। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি উত্তম যে নিজে কোরআন শরীফ শিক্ষা করেছেন এবং অপর কে শিক্ষা দিয়েছেন। ( বুখারী, মুসলিম )
১৫। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, কবিরাহ গুনাহর মধ্যে সবচেয়ে বড় গুনাহ শিরক করা। ( বুখারী, মুসলিম )
১৬। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, গরীব দুঃখীকে দান খয়রাত করলে একটি পূর্ণ আর আত্নীয় সজনকে দান করলে দুইটি পূর্ণ। ( ইবনে মাজাহ নাসায়ী )
১৭। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, ইয়াতিমের মাল আত্নসাত করলে ধ্বংস ডেকে আনে।( বুখারী, মুসলিম )
১৮। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, মাথর সাথে দেহের যেমন সম্পর্ক ঈমানের সাথে ধৈরযের তেমন সম্পর্ক।
১৯। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, কারো অন্তরে সরিষা পরিমান অহংকার থাকলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবেনা।( মুসলিম )
২০। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, আগুন যেমন কাঠকে পুড়িয়ে দেয় মিথ্যা তেমন নেক আমল সমূহকে নষ্ট করে দেয়।
২১। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যখন কোন মানুষের মধ্যে থেকে লজ্যা চলে যায় তখন সে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। ( বুখারী )
২২। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যাবতীয় গুনের মধ্যে লজ্জা হল উৎকৃষ্ট গুণ, আর এই গুণের দ্বারা মানুষ সফলতা অর্জন করে। ( বুখারী )
২৩। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, তোমাদের মধ্যে সর্ব উত্তম ঐ ব্যক্তি যে সর্বদায় আল্লাহর যিকির করে। ( বয়হাকী )
২৪। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, রোগীর সেবা যত্নকারী নিজ ঘরে ফিরে না আসা পযর্ন্ত জান্নাতের পথ চলতে থাকে। ( মুসলিম )
২৫। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে সৎ চরিত্র অধিকারি।
২৬। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি আমার নিকট সব চেয়ে উত্তম যার চরিত্র সুন্দর।
২৭। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি সর্বদা সত্য কথা বলে আল্লাহর দরবারে তাকে সিদ্দীক বলে অভিহিত করা হয়।
২৮। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যখন কোন ব্যক্তিকে আল্লাহ ধ্বংস করতে চাই তখন আল্লাহ তার থেকে লজ্যা কেড়ে নেই।
২৯। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, অত্যাচারী বাদসাকে সব চাইতে কঠিন ও ভীষণ আযব ভোগ করতে হবে। ( তিরমিজি )
৩০। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, কোন মুসলমানকে অভিশাপ দেওয়া তাকে হত্যার সমতুল্য। ( বুখারী, মুসলিম )
৩১। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন,ন্যায় বিচারক ও শাসন কর্তা কিয়ামতে দিন আল্লাহর আরশের ছায়ার নিচে অবস্থান করবে। ( বুখারী )
৩২। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, সুদ যদিও সম্পদ বৃদ্ধি করে কিন্তু এর পরিনাম শেষ ভাগ কমের দিকে নিয়ে যায়। ( ইবনে মাজাহ )
৩৩। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোন মুমীন ব্যক্তির ক্ষতি করে বা ধোকা দেয় সে অভিশপ্ত। ( তিরমিজি )
৩৪। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, কোরআন শরীফ তেলাওয়াতের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারে। ( তিরমিজি )
৩৫। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, দুনিয়া মুমিন লোকের জন্য হাজত খানা আর কাফের দের জন্য জান্নাত। (মুসলিম )
৩৬। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে কেহ বাম হাত দিয়ে আহার ও পান করবেনা,কারন শয়তান শুধু বাম হাত দিয়ে আহার ও পান করে। (মুসলিম )
৩৭। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, আল্লাহ সেই বান্দার উপর সনতুষ্ট হন , যে আহার ওপান করার পর আল্লাহর প্রশংসা করে। ( মুসলিম )
৩৮। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, নামাজের মধ্যে কাতার সমুহ সোজা করিও , নতুবা আল্লাহ পাক তোমাদের অন্তরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে দেবেন। ( মুসলিম )
৩৯। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আমার কবর যিয়ারত করলো তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়জিব হয়ে গেল। ( দারকুতান )
৪০। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ শরীফ পাঠ করে আল্লাহ পাক তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন। ( বুখারী )
শেষ কথা
আশা করি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) এর চল্লিশ হাদিস জানতে পেরেছেন। মুসলমান হিসাবে আমাদের প্রথম দায়িত্ব হবে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) এর চল্লিশ হাদিস নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করা এবং অন্যদের কে বাস্তবায়নের সুযোগ করে দেওয়া।