নতুন চুল গজানোর উপায়-চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

 প্রিয় পাঠক আপনি কি চুল পড়া নিয়ে অনেক চিন্তিত? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারন আজকের আর্টিকেলে নতুন চুল গজানোর উপায়-চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।


নতুন চুল গজানোর উপায়-চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি যে পড়বে তার চুলের যত সমস্যা আছে সব কিছু সমাধান করতে সম্ভব হবে। তাই আর্টিকেলে নতুন চুল গজানোর উপায়-চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

ভূমিকা

বর্তমানে অধিক ভেজাল খাবার,বায়ুদূষণ,পানি দূষণ,মানসিক স্ট্রেস,বংশগত কারণ,অনিয়ম তান্ত্রিক জীবন যাপনের কারণে প্রায় প্রতিটি মানুষেরই চুল ঝরে যাওয়ার কথা শোনা যায়। আগের সময়ে মানুষের বয়স হলে চুল পড়ে যাওয়ার কথা শোনা যেত।কিন্তু বর্তমান সময়ে অল্প বয়সে মানুষের চুল পড়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে এই চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যাটা প্রায় প্রকট আকার ধারণ করেছে।


তবে নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে কিছু পুষ্টিকর খাবার,নিয়ম নীতি ও প্রাকৃতিক কিছু চুলের যত্ন নিলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে আবার নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।প্রতিটি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালনের ব্যবস্থা রয়েছে। এটাকে যদি বাড়ানো যায় তাহলে নতুন চুল গজানো সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে-

নতুন চুল গজানোর উপায় (খাদ্যাভ্যাস ও কিছু সতর্কীকরণ)

সুন্দর চুল সকলেরই কাম্য। পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যে চুলকে সুন্দর করতে চাই না। আর এই চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে এমন কিছু খাদ্য গ্রহণ এবং কিছু নিয়ম নীতি মেনে চলতে হবে। তাহলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু খাদ্যাভ্যাস ও সতর্কীকরণ।

প্রোটিন জাতীয় খাবার

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডিম,মাছ,মাংস,দুধ,ডাল,সিমের বীজ,বাদাম ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে।

পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির মাথাপিছু দৈনিক ৫০ থেকে ৭০ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। প্রোটিন চুল পড়া বন্ধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটা ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ খাবার

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া রোধ করে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন:

ছোট মাছ, চর্বিযুক্ত মাছ,সামুদ্রিক মাছ,বাদাম,তিসি,চিয়া বীজ,আখরোট,তিল,প্রভৃতি।তাই সপ্তাহে অন্তত তিন দিন খাদ্য তালিকায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।

ভিটামিন সি যুক্ত ফল

ভিটামিন সি যুক্ত ফল যেমন: আমড়া,পেয়ারা,লেবু,মাল্টা,জাম্বুরা,আমলকি,স্ট্রবেরি,কিউই নানা রকম বেরিয়ে জাতীয় ফল প্রভৃতি। এইসব ফলে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল।

এই সব পুষ্টি উপাদান চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তত যে কোন দুইটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল গ্রহণ করা উচিত।

সবুজ শাকসবজি

সবুজ শাক-সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন,মিনারেল এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের গোড়া মজবুত করে এবং মাথার ত্বক ভালো রাখে। তাই নতুন চুল গজানোর উপায় হিসেবে আমরা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ শাকসবজি গ্রহণ করতে পারি।

দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার

দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবারে প্রোটিনের পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমান ক্যালসিয়াম যা চুলের বৃদ্ধিতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তাই সুন্দর ও ঝলমলে চুলের জন্য প্রতিদিন এক কাপ করে হলেও দুধ পান করার চেষ্টা করুন।

আয়রন সমৃদ্ধ খাবার

নতুন চুল গজানোর উপায় হিসেবে আমরা আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারি। কারণ আয়রনের অভাবে অনেক সময় চুল পড়ে যায়। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন: কলিজা,লাল মাংস,ডাল,ছোলা, কুমড়ার বীজ,খেজুর,পালং শাক প্রভৃতি।

যখন শরীরে আয়রনের ঘাটতি হয় তখন চুলের গোড়ায় পুষ্টির অভাব হয় ফলে চুলের গোড়া আগলা হয়ে পড়ে এবং চুল পড়া শুরু হয়ে যায়।তাই সপ্তাহে অন্তত ২ দিন আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত।

পর্যাপ্ত পানি পান

ত্বক ও চুল সুন্দর রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা অতি জরুরি। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে মাথার ত্বকে কোষে পানি পৌঁছায় এবং চুল শুষ্ক হয়না এবং অধিক পরিমাণ চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন অন্তত তিন থেকে চার লিটার পানি পান করা অতি জরুরী।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়(কিছু সতর্কীকরণ)

  • ভেজা চুল কখনোই আঁচড়ানো উচিত না। কারণ ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া নরম থাকে এ অবস্থায় চুল আঁচড়ালে চুল অধিক পরিমাণ ঝরে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
  • প্রতিদিন শ্যাম্পু করা উচিত না।কারণ এতে চুল অধিক পরিমাণ শুষ্ক,রুক্ষ হয়ে পড়ে এবং চুলের প্রাকৃতিক তৈলাক্ত ভাব নষ্ট হয়। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন চুলে হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
  • চুলে অধিক পরিমাণ তেল কখনোই ব্যবহার করবেন না। কারণ অধিক পরিমাণ তেল চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় এতে চুল পড়া বৃদ্ধি পায়।
  • আঙ্গুলের নখ দ্বারা কখনোই মাথার ত্বকে ঘষাঘষি করবেন না। এতে মাথার ত্বকের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে অথবা ত্বকের ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। ফলে অধিক পরিমাণ চুল পড়তে পারে।
  • অতিরিক্ত চুল আঁচড়ানো যাবে না কারণ এতে চুল পড়ার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে তুলে।
  • প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার পানি দিয়ে ভালোভাবে চিরুনি পরিষ্কার করুন
  • অধিক মানসিক চাপ কমাতে হবে এবং প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।
  • অধিক সময় ধরে ভেজা চুল বেঁধে রাখবেন না। কারণ অধিক সময় চুল ভেজা অবস্থায় থাকলে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল ওঠার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুইদিন মাথার ত্বকে তেল আলতো ভাবে ঘষে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। তেল অবশ্যই চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত সম্পূর্ণ চুলের ব্যাবহার করার চেষ্টা করবেন।তাহলে চুলের প্রাকৃতিক তৈলাক্ত ভাব বজায় থাকবে এবং চুল ঝলমলে ও সুন্দর হবে।

নতুন চুল গজানোর উপায় (প্রাকৃতিকভাবে)

চুলের গোড়া ম্যাসাজ

প্রতিদিন অন্তত দশ মিনিট আঙ্গুলের সাহায্যে চুলের গোড়া ম্যাসাজ করুন।এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে যা দ্রুত চুলের বৃদ্ধিসহ নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

পেঁয়াজের রস

পেঁয়াজের রস চুল পড়া কমাতে এবং নতুন চুল গজাতে খুব ভালো কাজ করে। কারণ পেঁয়াজের রসে রয়েছে উচ্চমাত্রায় সালফার। এছাড়াও পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মাথার ত্বকে জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

কয়েকটি পেঁয়াজ ভালো ভাবে বেটে নিন এবং এর রস ছেকে নিন। পেঁয়াজের রসের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এই রস তুলোর সাহায্যে চুলের গোড়ায় লাগান এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরবর্তীতে যে কোন ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

মেথি

চুলের যত্নে মেথির উপকারিতা অপরিসীম। মেথি চুল পড়া কমাতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ মেথি সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে এই মেথি ব্লেন্ড অথবা পাটায় বেটে নিন।

এই ব্লেন্ড করা মেথির সঙ্গে লেবু অথবা টক দই যোগ করে সরাসরি মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিন।

অ্যালোভেরা

নতুন চুল গজানোর উপায় হিসেবে এলোভেরার ভূমিকা অন্যতম। তাজা অ্যালোভেরার জেল সপ্তাহে কয়েকদিন চুলের গোড়ায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। এতে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

নারকেল তেল

চুলের জন্য নারকেল তেল সবচেয়ে কার্যকরী একটি উপাদান। এই তেল ব্যবহারে চুল ভেতর থেকে পুষ্টি পায়। নারকেল তেলের প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে।যার কারণে চুল দ্রুত লম্বা হয়,নতুন চুল গজায়, এছাড়াও চুল হয় ঝলমলে ও কোমল।

ক্যাস্টর অয়েল ও অলিভ অয়েল

ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগান।এরপর ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন মাইল শ্যাম্পু দিয়ে। শ্যাম্পু শেষে গ্রিন টির লিকার দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এটা চুল পড়া কমাবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

কালোজিরা

নতুন চুল গজানোর উপায় হিসেবে অন্যতম একটি উপাদান কালোজিরা। কালোজিরার তেল বা নির্যাস চুলের গোড়া তে ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

আমলকি

কাঁচা আমলকির রস অথবা শুকনো আমলকি পানিতে ভিজিয়ে রেখে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। আমলকি ব্যবহারে চুলের গোড়া শক্ত হয়,চুল কালো হয় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

নিম পাতার ব্যবহার

অতি প্রাচীন কাল থেকেই নিমপাতা চুল ও ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। একমুঠো নিমপাতা নিয়ে এক লিটার পানিতে ফুটিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে শ্যাম্পু করার পর এই নিমের পাতার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

এভাবে প্রতি সপ্তাহে যদি এক থেকে দুইদিন করতে পারেন।তাহলে মাথার ত্বকের সংক্রমণ বা খুশির সমস্যা থাকলে তা দূর হবে এবং চুলের গোড়া শক্ত হবে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

পেয়ারার পাতার ব্যবহার

বর্তমানে পেয়ারার পাতা নতুন চুল গজানোর উপায় হিসেবে খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ৮ থেকে ১০ টি পেয়ারার পাতা এক লিটার পানিতে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে এই পানি গোসলের শেষে মাথায় ঢালুন। প্রতি সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন ব্যবহার করলে এর আশ্চর্য যাদুকারী প্রভাব দেখতে পাবেন।

মেহেদি পাতার ব্যবহার

নতুন চুল গজানোর উপায় হিসেবে মেহেদি পাতার কার্যকারিতা অধিক। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন মেহেদী পাতা ব্যবহার করে দেখুন চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

নতুন চুল গজানোর উপায় হিসেবে আমরা কিছু মিশ্র প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারি যেমন:

৮ থেকে ১০ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ মেথির গুড়া এবং ২ টেবিল চামচ আমলকির গুড়া ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটির সাথে এক টেবিল চামচ অথবা ২ টেবিল চামচ এর মত লেবুর রস যুক্ত করুন।

এই মিশ্রণটির সঙ্গে নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল তেল কিছু পরিমাণ যুক্ত করে নিলে আরো ভালো হয়। এইবার এই মিশ্রণটি খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে এবং চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে। অন্তত এক ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।পরবর্তীতে শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে ফেলুন।

এই মিশ্রণটি যদি সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করতে পারেন তাহলে চুল ওঠা সম্পূর্ণ নিরাময় হবে এবং নতুন চুল গজাবে। এছাড়াও এই মিশ্রণটির সাথে কিছু পরিমাণ টক দই যুক্ত করে নিতে পারেন। কারণ টক দই চুলের জন্য অনেক উপকার।

কালোজিরা এবং মেথি নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে হালকা তাপে ফুটিয়ে নিন। এই তেলটি একটি কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করুন তাহলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।এই তেল ব্যবহারেও চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

শেষ কথা

পরিশেষে আমরা একটি কথা বলতে পারি যে পর্যাপ্ত পরিমাণ সুষম খাবার,নিয়মিত ব্যায়াম,শরীর চর্চা এবং প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমাতে হবে। অর্থাৎ শরীরের ভেতর থেকে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হবে। তাহলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। আজকের আর্টিকেলে আমরা নতুন চুল গজানোর উপায়-চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url