মাথার ব্রেইন ভালো রাখার উপায়-ব্রেইন ভালো রাখার খাবার

প্রিয় পাঠক আপনারা কি জানেন মানুষের শরীরের ব্রেইন কতটা জরুরী। ব্রেইন মানুষের পুরো শরীরের কার্যক্রম কে পরিচালিত করে। আজকের আর্টিকেলে মাথার ব্রেইন ভালো রাখার উপায়-ব্রেইন ভালো রাখার খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।

মাথার ব্রেইন ভালো রাখার উপায়-ব্রেইন ভালো রাখার খাবার

আপনারা যদি মাথার ব্রেইন ভালো রাখার উপায়-ব্রেইন ভালো রাখার খাবার সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইল।

ভূমিকা

শরীরের সব থেকে শক্তিশালী অঙ্গ হলো মাথার ব্রেইন বা মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কে যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকে। আমরা দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু কাজ করে থাকি যার ফলে মস্তিষ্কে ব্যাপক ক্ষতি কারণ হয়ে দাঁড়ায় যেমন: সকালের নাস্তা না খাওয়া। সকালের নাস্তা না খাওয়ার ফলে রক্তচাপ অনেক বেশি কমে যায় এবং ব্রেইন পর্যাপ্ত পুষ্টি পাইনা ফলে ব্রেইনের কার্যক্ষমতা কমে যায়।


আবার অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলেও ব্রেইনের ক্ষতিসাধন হয়। ধূমপান,বায়ু দূষণ,অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার,পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব,অত্যাধিক মানসিক চাপ প্রভৃতির কারণে ব্রেইনের ক্ষতিসাধন হয়। মাথার ব্রেইন ভালো রাখার জন্য আজকের আর্টিকেলে দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়মকানুন ও কিছু খাদ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।

মাথার ব্রেইন ভালো রাখার উপায়

মাথার ব্রেইন ভালো রাখার জন্য কিছু নিয়মকানুন ও খাদ্যাভাসের পরিবর্তন করতে হবে। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও কিছু সুষম খাদ্যাভ্যাস এর মাধ্যমে সহজে মাথার ব্রেইন ভালো রাখা যায়। নিম্নে কিছু নিয়মকানুন বর্ণিত হল:

ব্যায়াম করা

মাথার ব্রেইন ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করা অতি জরুরী। ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের সিন্যাপসের সংখ্যা বাড়ে এবং মগজের নতুন নতুন কোষ তৈরি হয়। এছাড়াও আপনি যদি কার্ডিওভাস্কুলার ব্যায়াম করেন তাহলে মগজে বেশি হারে অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ সরবরাহ হয়।

হাঁটাচলা করা

মাথার ব্রেইন ভালো রাখার উপায় হিসেবে প্রতিদিন হাঁটাচলা অতি জরুরী। বহু গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন যদি ৪৫ মিনিট করে হাঁটা যায় তাহলে মস্তিষ্কের খারাপ হরমোন নিঃসারিত হয় এবং মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

অতিরিক্ত মানসিক চাপ পরিহার করা

দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ এবং উদ্যোগ ব্রেইনের জন্য অতি ক্ষতিকর। স্মৃতিশক্তি নষ্টের বড় কারণ হলো অতিরিক্ত মানসিক চাপ। অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম ধ্বংস করে ফলে শরীরের মধ্যে সেলস মলিকিউল বলে কিছু জিনিস থাকে যার ফলে ব্রেইনের সমস্যা সৃষ্টি হয়।

পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা

আমাদের মস্তিষ্কের প্রায় ৭৫ শতাংশই পানি। প্রতিদিন অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করা জরুরী। শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়,সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব হয়,মনোযোগ কমে যায়,স্বল্প সময়ের জন্য স্মৃতিশক্তি কমার লক্ষণ দেখা দেয়। সুতরাং মাথার ব্রেইন ভালো রাখার উপায় হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।

মোবাইল ও কম্পিউটারের সীমিত ব্যবহার

মাথার ব্রেইন ভালো রাখার উপায় হিসেবে মোবাইল ও কম্পিউটার সীমিত ব্যবহার করা অতি জরুরী। মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার থেকে নিঃসৃত ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ব্রেইনের জন্য অতি ক্ষতিকারক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের উভয়ের জন্য সেলফোন ব্যবহার সীমিত করার পরামর্শ দেন।

তাই বিশেষ করে ঘুমানোর আগে নিজের সেলফোন অবশ্যই বন্ধ করে ঘুমানো উচিত। সুতরাং মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার ব্যবহারে একটু সতর্ক হলে আমরা মাথার ব্রেইন কে ভালো রাখতে পারি।

চিনি যুক্ত খাবার পরিহার করা

অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার ব্রেইন কে ড্যামেজ করে ফেলে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা কম চিনি খায় তাদের তুলনায় যারা নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি খায় তাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল এবং মস্তিষ্কের ঘনত্বের পরিমাণ অনেক কম। সুতরাং ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে চিনি কম খেতে হবে।

ধূমপান পরিহার করা

ধূমপান একটি মারাত্মক ক্ষতিকর ও বিপদজনক অভ্যাস। কারণ সিগারেটের ধোঁয়ায় যে নিকোটিন থাকে তা হিরোইন অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী। ধূমপানের কারণে শরীরে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হয়।অতিরিক্ত ধূমপানের স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে পারে এবং মস্তিষ্কের আকার হ্রাস পায়। এছাড়াও হার্ট ব্লক, ব্রেইনস্ট্রোকের ও রক্তপাতের মতো ঘটনার ঝুঁকি তো আছেই।

পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো

মাথার ব্রেইন ভালো রাখার উপায় হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম খুব কার্যকরী। একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম অতি জরুরী। কারণ ঘুমের মধ্যে ব্রেইন বিশ্রাম পায়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমালে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে।

এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়,মানসিক চাপ কমায় এবং হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে।চেষ্টা করুন রাত ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে ঘুমানোর। প্রতিদিন সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন।ঘুমের সময় আপনার মস্তিষ্ক পরবর্তী স্মৃতি ধরে রাখার জন্য প্রস্তুত হয়।

সূর্যের আলোতে থাকা

মাথার ব্রেইন ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকা অতি জরুরী। সকাল দশটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত সূর্যের আলো ভিটামিন ডি তৈরির উপযুক্ত সময়।

সূর্যের আলো থেকে আমরা শরীরের ৮০ ভাগ ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে পারি। এছাড়াও সূর্যের আলো দেহের ডোপামাইন হরমোন বের করতে সাহায্য করে। যার ফলে এই হরমোন মুড ভালো রাখে এবং মাথা ঠান্ডা করে।

ব্রেইন ভালো রাখার খাবার

মাথার ব্রেইন ভালো রাখার জন্য এমন কিছু খাবার রয়েছে যা দুশ্চিন্তা দূর করে। কিছু খাবার রয়েছে যা মস্তিষ্কের ডোপামাইন, এন্ডোরফিন, সেরোটোনিন মতো ফিল গুড হরমোন তৈরি করে। এমনকি শরীরের খারাপ কর্টিসলের প্রভাব কমায়। ব্রেইন ভালো রাখার খাবার নিম্নে কিছু বর্ণিত হলো:

চর্বিযুক্ত মাছ

মাথার ব্রেইন ভালো রাখার জন্য চর্বিযুক্ত মাছ অধিক কার্যকরী। কারণ চর্বিযুক্ত মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। আর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ব্রেইন বুস্টিং করতে সাহায্য করে।

লইটা,পুঁটি,ইলিশ,মাগুর,ভেটকি,ছুরি,আইড়,বাগদা চিংড়ি,রুই,কাতলা,কই,চাবিলা প্রভৃতি হল অধিক ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সম্পন্ন মাছ। ব্রেইনের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন চর্বিযুক্ত মাছ খাওয়া উচিত।

শাক সবজি

শাক সবজি শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি আমাদের ব্রেইনের বিকাশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্রোকলি, বাঁধাকপি,ফুলকপি,পালংশাক,পুঁইশাক,টমেটো,গাজর,বরবটি, প্রভৃতি। এই ধরনের সবজি গুলোতে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন,ফলিক অ্যাসিড,লুটেইন, এবং ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। এক গবেষণায় দেখা যায় ব্রেইন বুস্টিং করতে এই সকল পুষ্টি উপাদান অতি জরুরী।

বিভিন্ন ধরনের ফল

ভিটামিন সি যুক্ত ফল যেমন: কমলালেবু,পেয়ারা,জাম্বুরা,স্ট্রবেরি,আমড়া,বিভিন্ন বেরি জাতীয় ফল প্রভৃতি। এইসব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দুশ্চিন্তা দূর করে দেয় খুব সহজে। এছাড়াও আম,আপেল,কলা,অ্যাভোকাডো,ব্রেইন ভালো রাখার জন্য বেশ কার্যকরী।

আমের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বি ৬ বা পাইরিডক্সিন। পাইরিডক্সিন মানুষের মস্তিষ্কের গাবা নামের এক ধরনের হরমোন তৈরি করে যা প্রতিরোধ করে স্ট্রোক ও মস্তিষ্কের অন্যান্য জটিল রোগ। অ্যাভোকাডো ও কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম ও লিউটিন। আর এই দুটি উপাদান দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে।

ডার্ক চকলেট

আমরা বাজারে যেসব চকলেট কিনতে পাই যেগুলো মধ্যে বেশিরভাগ দুধ আর চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। ডার্ক চকলেট বলতে বোঝায় সেসব চকলেট যেগুলোতে ৭০% এর বেশি COCOA থাকে। আর ডাক চকলেটে প্রচুর পরিমাণে FLAVONOIDS থাকে।

এই FLAVONOIDS এর দুইটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো: নাম্বার ১/এরা আমাদের মেমোরি কে বুস্ট করতে সাহায্য করে। নাম্বার ২/ আমাদের বয়সের সাথে সাথে এমনিতে মেমোরি কিছুটা করে ডিক্লাইন হতে থাকে। আর এই FLAVONOIDS ব্রেইন কে ডিক্লাইন হতে বাধা প্রদান করে।

ডিম ও মগজ

মাথার ব্রেইন ভালো রাখার জন্য ডিম খুব উপকারী। ডিমে রয়েছে মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যার নাম কলিন। এই কলিন আমাদের মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্স মিটার হিসাবে কাজ করে।

সুতরাং ব্রেইন ভালো রাখার খাবার হিসেবে ডিমকে আমরা প্রাধান্য দিতে পারি। এছাড়াও গরু-ছাগল,মহিষ-ভেড়ার মগজে প্রচুর পরিমাণ কলিন থাকে। সুতরাং মগজ ভুনা ব্রেইনের জন্য বেশ উপকারী।

দুধ

মাথার ব্রেইন ভালো রাখার উপায় হিসেবে দুধ খাওয়া অতি জরুরি। দুধে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। এজন্য পুষ্টিবিদরা একে সুপার ফুড নামে অভিহিত করেন। দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন,শর্করা,ক্যালসিয়াম,লৌহ,খাদ্য শক্তি,ভিটামিন ডি প্রভৃতি। আর এইসব পুষ্টি উপাদান মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।

বাদাম

বাদাম ছোট বড় সকলেরই পছন্দের একটি খাবার। মাথার ব্রেইন ভালো রাখার উপায় হিসেবে বাদাম খুব উপকারী। কারণ বাদামে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমন: প্রোটিন,কার্বোহাইড্রেট,খাদ্য শক্তি, ক্যালসিয়াম,আয়রন,ক্যারোটিন,মাইক্রগ্রাম,ভিটামিন বি,ভিটামিন বি১,ভিটামিন বি২,ভিটামিন ই,ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড,আন্টি অক্সিডেন্ট প্রভৃতি।

বাদামের এইসব পুষ্টি উপাদান আমাদের ব্রেইনের হেলথ এর জন্য খুব জরুরী। এক গবেষণায় দেখা যায় যারা প্রতিদিন বাদাম খায় তাদের ব্রেনের কার্যক্ষমতা অনেক বেশি। বাদামে থাকা ভিটামিন ই এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শুধু ব্রেইনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে না এটা ত্বক সজীব ও লাবণ্যময় করতে সাহায্য করে। তাই ব্রেইনকে Sharp করতে চাইলে প্রতিদিন আধা কাপ থেকে এক কাপ পর্যন্ত বাদাম খেতে পারেন।

গ্রিন টি

মাথার ব্রেইন ভালো রাখার উপায় হিসেবে গ্রিন টির উপকারিতা অধিক। গ্রিন টি তে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেমন:অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,এনজাইম,অ্যমিনোএসিড,ভিটামিন বি,ভিটামিন বি কমপ্লেক্স,প্রভৃতি। এইসব পুষ্টি উপাদান মাথার ব্রেইন কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখা অতি জরুরী।

কারণ বর্তমানে অনলাইনে ওজন কমানোর কথা বলে যে সব গ্রিন টি,গ্রীন কফি বিক্রি করে থাকে এগুলো কিন্তু খাওয়া যাবে না। কারণ এগুলো আপনার ইন্টারনাল অর্গান কে নষ্ট করে ফেলতে পারে। তাই নর্মালি যেসব গ্রিন টি দোকানে কিনতে পাওয়া যায় এগুলো খাওয়া ভালো।

বিভিন্ন ধরনের বীজ

মিষ্টি কুমড়ার বীজ,চিয়া বীজ,তিসি বীজ,সূর্যমুখী ফুলের বীজ,সিমের বীজ,প্রভৃতি। এইসব বীজ গুলোতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান ভরপুর রয়েছে। পুষ্টিবিদরা এজন্য এসব বীজ গুলোকে সুপার ফুড নামে অভিহিত করেন।

এইসব বীজে আছে প্রোটিন,ফ্যাট,ম্যাগনেসিয়াম,ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম,আয়রন,কপার,ভিটামিন এ,ভিটামিন সি,ভিটামিন ই,অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড,প্রভৃতি। এইসব বীজ মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগ,বিষণ্নতা থেকে রক্ষা করে।

হলুদ

ব্রেইন ভালো রাখার খাবার হিসেবে হলুদের কার্যকারিতা অনেক। হলুদের কারকিউমিন নামক রাসায়নিক যৌগ পাওয়া যায় যা মস্তিষ্কে স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে উপকার করে। হলুদ মস্তিষ্কের খারাপ হরমোন এর মাত্রা কমায় এবং ভালো হরমোন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও হলুদ মস্তিষ্কের কোষ বাড়ায়।

শেষ কথা

পরিশেষে বলতে পারি যে উপরোক্ত নিয়ম-কানুন মেনে চললে এবং খাবারগুলো সেবন করলে ব্রেইনের কোষের মৃত্যু আটকানো সম্ভব। এছাড়াও ৩৫ বছর পার হলে মাঝে মাঝে ব্রেইন পরীক্ষা করা জরুরী। আজকের আর্টিকেলে মাথার ব্রেইন ভালো রাখার উপায়-ব্রেইন ভালো রাখার খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url